এক বছর পেরিয়েও মিঠাই (Mithai) রানী সকল বাংলা ধারাবাহিকের সেরা। প্রত্যেক সপ্তাহে টিআরপির ফলাফল প্রকাশের দিনে আর পাঁচটা সিরিয়ালের ভক্তরা যেখানে দুরুদুরু বুকে অপেক্ষা করেন সেখানে মিঠাই ভক্তরা তাদের রানীকে নিয়ে মোটামুটি নিশ্চিতই থাকেন। জি বাংলার (Zee Bangla) মিঠাই ধারাবাহিকে একা মিঠাই নয়, ধারাবাহিক সেরা হওয়ার ইউএসপি লুকিয়ে আছে অন্যান্য চরিত্রদের মধ্যেও।
মিঠাই ধারাবাহিকে দর্শকদের একটি অন্যতম পছন্দের চরিত্র রাজিব। মোদক বাড়ির বড় জামাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেতা সৌরভ চ্যাটার্জী (Sourav Chatterjee)। তিনি আবার লাভ গুরু! মোদক বাড়ির ছোটদের প্রেমের টিপস দিয়ে থাকেন তিনি। অথচ তার জীবনেই নাকি প্রেমিকা নেই! দিদি নাম্বার ওয়ানে রচনা ব্যানার্জীর কাছে আক্ষেপ জানিয়ে দিলেন সৌরভ চ্যাটার্জীর মা।
ধারাবাহিকের গল্প অনুসারে নায়ক সিদ্ধার্থের পিসিমণির একমাত্র মেয়ের বর হল রাজিব। ধারাবাহিকে তাকে বেশ মজার মানুষ হিসেবেই দেখানো হয়। বাস্তবেও তিনি ঠিক তেমনই মজার মানুষ। অনস্ক্রিন শ্যালিকা এবং শ্যালকদের অবিরাম প্রেমের পাঠ পড়াচ্ছেন রাজিব। অথচ তার নিজের জীবনেই নাকি প্রেমের কোনও চিহ্ন নেই। রাজিব কুমারের মা জানালেন তার ছেলের নাকি কোনও মেয়েকেই আজ পর্যন্ত পছন্দ হয়নি!
সৌরভের মায়ের ছেলেকে নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই। তিনি এখনও নিশ্চিন্তে হ্যাপিলি ব্যাচেলর জীবন কাটিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে ছেলের বিয়ে দিতে না পারায় চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন সৌরভের মা। এমনকি তিনি ভাবছেন ছেলের জন্য কুমোরটুলি থেকে মেয়ে বানিয়ে আনবেন কি না! সৌরভ ও তার মায়ের কথা শুনে এ দিন দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে অট্টহাসির রোল পড়ে যায়।
লাভ গুরু রাজিব কুমার বাস্তব জীবনে বিয়ের কথা উঠলেই তার মাকে বলেন, “বেশ তো শান্তিতে আছি, তোমার শান্তি পছন্দ হচ্ছে না?” তার মা তাই হাল ছেড়ে দিয়ে রচনাকেই ছেলেকে বোঝানোর দায়ভার দিলেন। তিনি বললেন, “ছেলেকে বিয়ের জন্য বলে বলে আমি হয়রানি গিয়েছি। তাও বিয়ে করছে না। তুমি একটু বোঝাও তো।” তার মায়ের কথা শুনে হেসে গড়ালেন রচনা।
View this post on Instagram
মিঠাই ধারাবাহিকের রাজীব কুমারকে দর্শকরা ভীষণ পছন্দ করেন। এমন একটি ধারাবাহিকের অংশ হতে পেরে সৌরভ নিজেকে ধন্য মনে করেন। তার কথায় বাইরে থেকে যখন দর্শকরা তাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন তখন লাভ গুরু রাজীবের কাছ থেকে প্রেমের টিপস চান, মিঠাইয়ের কাছ থেকে রেসিপি জানতে চান, সিদ্ধার্থের গান শুনতে চান, আসলে দর্শকদের কাছে ধারাবাহিকের চরিত্ররা জীবন্ত হয়ে উঠেছেন। এই ধারাবাহিকে প্রত্যেকটি চরিত্র আজ যেন দর্শকদের জীবনের একটা অংশ।