

কোরোনা ভাইরাসের থাবা থেকে বাঁচতে দেশ জুড়ে চলছে ২১ দিনের লকডাউন। এর মধ্যেই বন্ধ মদের দোকান! ফলে রীতিমত হা হুতাশ জুড়েছে সূরা প্রেমীরা। এসবের ফলে হোম কয়ারেন্টিনে থাকা মানুষদের রীতিমত প্যানিক, ডিপ্রেসন এবং অ্যাঞ্জাইটি এর মতন অসুখ রীতিমত মাথা চারা দিয়ে উঠছে।
আগের থেকে যে বাড়িতে পানীয় মজুদ করে রাখবেন সেই অবসর পাননি সাধারণ মানুষ কারন ২২ তারিখ রবিবার জনতা কারফিউ এর ঠিক পরের দিন বিকেল পাঁচটা থেকেই শুরু হয়ে গেছে লক ডাউন। অবস্থা এমনই গুরুতর যে পকেটে টান পড়লেও ১০০ টাকার মদ ৪০০-৫০০ তেও কিনছেন তারা, ৫০০ টাকার মদ কিনছেন হাজার তিনেক টাকায়! এক কথায় ব্ল্যাকে কিনতে হচ্ছে মদ।
কিন্তু মদ প্রেমীরা ঠিক দমে মদ পাচ্ছেন নাকি সেই বিষয় কেই বা লক্ষ্য করবে! এটি তো নিত্য প্রয়োজনীয় নয়। কিন্তু মানসিক অবসাদের কারণে এটিই বর্তমানে অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে গেছে অনেকের কাছে। এমনও দেখা যাচ্ছে যে খবর রটছে দু ঘণ্টার জন্য খোলা হবে দোকান। সেই আশায় দোকানে ভিড় জমিয়ে অবশেষে হতাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে সূরা প্রেমীদের। এমন অবস্থায় দোকান কবে খুলবে এই একটাই প্রশ্ন তাদের মাথায়।
আরও পড়ুন :- জ্বর সর্দি গলাব্যাথা নয়, করোনা সংক্রমনের ৫টি নতুন লক্ষণ
আবগারি দফতর সূত্রে বলা হয়েছে যে যতদিন না লক ডাউন উঠছে কোনোভাবেই মদের দোকান খোলার সম্ভাবনা নেই। যেহেতু লক ডাউন নিয়েও বর্তমানে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে সেক্ষেত্রে এই বিষয়ও পরিষ্কার করে কিছু বলা যাচ্ছেনা। এ রাজ্যের আবগারি দফতরের এক কর্তা জানায়, লকডাউনের সময় কোনোভাবেই মদের দোকান খোলা হবেনা। অনেকেই বলছেন যে দু এক ঘণ্টার জন্য দোকান খোলা হবে কিন্তু সেটা সত্যি নয়। কারন মদ কোনো নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস নয় যেটা না হলে মানুষের জীবন চলবে না। তাই লক ডাউনের মধ্যে মদের দোকান খোলার কোনরকম সম্ভাবনাই নেই। লক ডাউন শেষ হওয়া পর্যন্ত করতেই হবে অপেক্ষা।
আরও পড়ুন :- লকডাউনের পর ট্রেন চলাচলে থাকতে পারে ১০টি বিধিনিষেধ
২০১৯-২০২০ আর্থিক বছরে সূরা রাজস্ব কে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে বলেও মনে করছেন কর্ম কর্তারা। ২০১৬-১৭ আর্থিক বছরে আবগারি রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৫,২২৬ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ সালে তা বেড়ে হয় ৯,৩৪০ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯-এ ১০,৫৯০ কোটি টাকা। তাই ২০১৯-২০ আর্থিক বছরে রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৩-১৪ হাজার কোটি টাকা। তাই, এই লকডাউনের ফলে প্রায় ৩০০০ থেকে ৩৫০০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছে রাজ্য সরকারের আবগারি দফতর।