ব্রিটিশরা শাসন না করলে কেমন হত ভারতের চেহারা ? 

১৭৫৭ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ঘাঁটি গাড়ে ভারতে। তারপর থেকে ২০০ বছর ইংরেজরা শাসন করেছে ভারতীয়দের। কিন্তু কল্পনা করুন ব্রিটিশরা যদি ভারতে না আসত, তাহলে কী হত? কেমন হত এখনকার ভারতের চেহারা। অনেকে বলেন, ভারতীয়দের অর্থনীতি ধ্বংস করার আগে ভারত একটি সমৃদ্ধশালী দেশ ছিল। আবার বিরুদ্ধ মত, আধুনিক ভারতের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হয়েছিল ইংরেজদের হাত ধরেই। আজও সেই ব্রিটিশ রাজ সংস্কৃতির ছোঁয়া আছে ভারতীয় সংস্কৃতিতে।
ব্রিটিশরা কোনোদিন দেশ শাসন না করা ভারতের চেহারা কল্পনা করা যাক।

Source

ভারতীয় রেলের ধীর-বিকাশ

ভারতে রেললাইন তৈরির পুরো কৃতিত্ব ইংরেজদের। ট্রেন চলাচলের ফলে পরিবহণের নতুন দিগন্ত খুলে যায়। যদি ব্রিটিশরা কোনওদিন ভারতে না আসত তবে রেলপথের উন্নয়ন হ্রাস পেত।

আরো পড়ুন : রেলের তৎকাল টিকিট বুকিং করার নতুন নিয়মগুলো জানেন কি ?

Source

গণতন্ত্রের কী হবে

শক, মুঘল-দের মতো বহু রাজা-রাজড়া ভারত শাসন করেছে। ব্রিটিশরা আসার আগে পর্যন্ত এদেশে গণতন্ত্রের চিহ্নমাত্র ছিল না। ইংরেজরাই ভারতে সংসদীয় নির্বাচন শুরু করে। যার ফলে ভারতীয়দের ভোটের অধিকার জন্মায়। গণতন্ত্র এমন একটি প্রধান বিষয় যা আমাদের দেশকে উপকৃত করেছে।

Source

ইংরেজি ভাষার সঙ্গে পরিচয়

এই বিষয়ে প্রত্যেকের নিজস্ব মতামত আছে। কেউ বিশ্বাস করেন ব্রিটিশরা আসার ফলেই এখন ভারতীয়রা ইংরেজি ভাষায় দক্ষ। আবার অনেকের মতে, ভাষা শেখা মেধা ও দক্ষতার ওপর নির্ভর করে।

আরো পড়ুন : যে ১০টি কারণে দ্রৌপদী মহাভারতের আদর্শ নারী এবং সকল নারীর অনুসরণযোগ্য

Source

সতীদাহ প্রথা রদ

ব্রিটিশ শাস্নেই সতী প্রথার বিলুপ্তি ঘটেছিল। মুঘল সম্রাট আকবর এবং ঔরঙ্গজেব সতীদাহ প্রথা বন্ধ করার চেষ্টা করলেও সফল হননি। ইংরেজদের নিষেধাজ্ঞা সমর্থন করেই সতীদাহ প্রথা বন্ধ করা সম্ভব হয়েছিল।

আরো পড়ুন : অনন্যা ৫ ভারতীয় নারী স্বাধীনতা সংগ্রামী যাদের সম্পর্কে আমরা জানি না

Source

ভারত সম্ভবত আরও ধনী হত

ভারতের অর্ধেকের বেশী সম্পত্তি দখল করে নিয়ে গেছে ব্রিটিশরা। ১৯৯৩ সালে এক বেলজিয়াম অর্থনীতিবিদ ওয়ার্ল্ড ইকনমিকে দেওয়া রিপোর্টে লিখেছেন, ১৭৫০ সালে বিশ্ব অর্থনীতিতে ভারতের শেয়ার ছিল ২৫ শতাংশ। সেখানে ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ অংশ ছিল মাত্র ২ শতাংশ।

Source

বিশ্বযুদ্ধের আঘাত থেকে বাঁচত ভারতীয় সেনা

বরাবরই ভারত শান্তিপূর্ণ জাতি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ ব্রিটিশদের মস্তিষ্কপ্রসূত। যুদ্ধের জন্য ভারতের ২০ লাখের বেশি ভারতবাসীকে লড়তে পাঠিয়েছিল ইংরেজরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ দেশকে মানসিক এবং অর্থনৈতিকভাবে ধ্বংস করে দেয়।

আরো পড়ুন : ভারত থেকে লুট করা কয়েকটি বহুমূল্য জিনিস যেগুলো আছে ব্রিটিশ মিউজিয়ামে

Source

কোহিনূর

দ্বিতীয় অ্যাংলো-শিখ যুদ্ধের পর লাহোরের শেষ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যার ফলে কোহিনূর চলে যায় রানী ভিক্টোরিয়ার হাতে। ব্রিটিশ শাসনে এটা ভারতের বড় লোকসান।