চাঁদের মাটিতে প্রস্রাব করলে কি হবে জানেন? জানলে চমকে যাবেন

চাঁদের মাটিতে সরাসরি প্রস্রাব করলে কী ঘটবে? বিজ্ঞানীদের ব্যাখ্যা শুনলে চোখ কপালে উঠবে

Unknown Facts About Moon : চাঁদের মাটিতে প্রথম পা রেখেছিলেন নীল আর্মস্ট্রং। প্রায় ৫০ বছর আগের সেই ঘটনা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ২০২৩ সালে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর পাঠানো ‘চন্দ্রযান ৩’ এর সফল অবতরণও ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। কারণ চাঁদের দক্ষিণ মেরু জয়ের প্রথম এই কৃতিত্ব একমাত্র ভারতেই। তবে জানেন কি চাঁদের মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব ত্যাগ করেন এক মহাকাশচারী? এখন তাকে নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

   

এই বিজ্ঞানী হলেন এডউইন অলড্রিন (Edwin Aldrin)। নীল আর্মস্ট্রংয়ের সঙ্গে সঙ্গে চাঁদের মাটিতে নেমেছিলেন এডুউইনও। তবে চাঁদে প্রথম পা রাখার কৃতিত্ব তার না হলেও প্রথম প্রস্রাব করার অভিজ্ঞতা কিন্তু তারই হয়েছিল। তিনি তার লেখা বই ‘নো ড্রিম ইস টু হাই’তে লিখে গিয়েছেন তার সেই অভিজ্ঞতার কথা। স্পেস স্যুটের ভেতরে থাকা এক প্রকারের বিশেষ থলিতে প্রস্রাব করেছিলেন তিনি। কিন্তু কী হবে যদি কেউ চন্দ্রপৃষ্ঠে সরাসরি মূত্র ত্যাগ করেন?

MOON

কেউ কেউ মনে করেন চন্দ্রপৃষ্ঠে যদি সরাসরি কেউ প্রস্রাব ত্যাগ করেন তাহলে নাকি সেটা টগবগ করে ফুটতে শুরু করবে। তবে এই ধারণা পুরোপুরি ভুল বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তবে যা ঘটবে সেটা অদ্ভুতুড়ে ঠেকলেও এর পেছনে রয়েছে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা। গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ক্রিস মেসেঞ্জার এই সম্পর্কিত বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

ক্রিসের দাবি, কোনও মহাকাশচারী যদি বায়ুচাপ যুক্ত এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত কোনও ঘরের মধ্যে থাকেন তাহলে চাঁদ এবং পৃথিবীর মধ্যে একমাত্র পার্থক্য হবে মাধ্যাকর্ষণ। চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পৃথিবীর ছয় ভাগের এক ভাগ মাত্র। চাঁদের কেউ প্রস্রাব করলে তা পৃথিবীর তুলনায় আড়াই গুণ বেশি দূরে গিয়ে পড়বে। আর যদি কোনও ব্যক্তি চাঁদের মাটিতে দাঁড়িয়ে স্পেস স্যুটের বাইরে সরাসরি প্রস্রাব করেন তাহলে কী হবে?

MOON LANDING

এই প্রশ্নের জবাবে বিজ্ঞানীরা যা জানাচ্ছেন তাতে সাধারণের চোখ কপালে উঠতে পারে। চাঁদে বায়ুমন্ডল নেই। সেই কারণে চন্দ্রপৃষ্ঠে সরাসরি প্রস্রাব পড়লে সেটা সরাসরি ফুটতে শুরু করবে। তবে তার থেকে উত্থিত বাষ্প উপরে উঠতে পারবে না, মাটিতেই পড়ে থাকবে। কারণ চাঁদে বায়ুমণ্ডল নেই। চাঁদের দুর্বল মাধ্যাকর্ষণের কারণে বাষ্প মাটিতেই থাকবে। বাতাসের অভাবে ভেসে বেড়াতে পারবে না।

MOON

আরও পড়ুন : চাঁদের আসল মালিক কে? কোন দেশের মালিকানা রয়েছে চাঁদের উপর?

অন্যদিকে মহাকাশচারীদের স্পেসস্যুটের ভেতরের চাপ পৃথিবীর বায়ুমন্ডলীয় চাপের সমান রাখা হয়। চাঁদে যদি স্পেস স্যুটের বাইরে কেউ প্রস্রাব করেন তাহলে বায়ুমণ্ডলের চাপ কম থাকার কারণে মাটিতে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা ফুটে বাষ্পে পরিণত হয়ে যাবে এবং চাঁদের মাটিতেই পড়ে থাকবে সেই বাষ্প। উল্লেখ্য, মানুষের মল এবং অন্যান্য সামগ্রী ভর্তি ৯৬ টি ব্যাগের দেখা নাকি মিলেছে চন্দ্রপৃষ্ঠে। এগুলো মহাকাশচারীদের ব্যবহৃত বলেই মনে করা হচ্ছে। চাঁদে বায়ুমণ্ডল না থাকায় সেগুলো নষ্ট হয়নি আজও।

আরও পড়ুন : চাঁদের মাটিতে জমি কিনেছেন, জানুন কোন কোন ভারতীয়ের সম্পত্তি রয়েছে চাঁদে