আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের ৯ জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস

গত রবিবার দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় সকাল থেকেই তুমুল বৃষ্টি হয়। শুধু রবিবার নয় বরং দিন কয়েক ধরেই রাজ্যের বেশিরভাগ জেলাতেই ঝাঁপিয়ে বৃষ্টি দেখা গিয়েছে। বৃষ্টির পাশাপাশি কোথাও কোথাও দেখা গিয়েছে শিলাবৃষ্টি। আর এসবের মাঝেই পূর্বাভাস, এমন দুর্ভোগ চলবে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। বৃষ্টির পাশাপাশি থাকবে কালবৈশাখীর দাপটও।

আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম ও পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। পাশাপাশি উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সমুদ্র উত্তাল হতে পারে।

যে কারণে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গের বেশকিছু জেলায় ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। হতে পারে কালবৈশাখীও। ৭০ থেকে ১১০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের নয় জেলাতে।

এছাড়াও হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ৩০ এপ্রিল নাগাদ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হবে একটি নিম্নচাপ। যে নিম্নচাপটি শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আর সেই নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে মে মাসের ৪ তারিখ নাগাদ তা আছড়ে পড়তে পারে পূর্ব মায়ানমার উপকূল অথবা বাংলাদেশ উপকূলে। ঘূর্ণিঝড়টি অগ্রসর হতে পারে প্রথমদিকে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমে, পরে অগ্রসর হতে পারে উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে।

বর্তমানে ছত্রিশগড় ও মেঘালয় দুটি ঘূর্ণাবর্ত বিরাজ করছে। ছত্রিশগড় থেকে মেঘালয় পর্যন্ত বৃষ্টিতে রয়েছে নিম্নচাপ অক্ষরেখা। এই অক্ষরেখাটি গাঙ্গেয় ওড়িসা, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপর বিরাজমান। আর যার যেই সাগর থেকে বিপুল পরিমাণ জলীয়বাষ্প ঢুকছে স্থলভাগে। যে কারণে বৃষ্টির পাশাপাশি শিলা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যের বেশিরভাগ জেলাতেই ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে কালবৈশাখী।

আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে মৎস্যজীবীদের প্রবেশ নিষেধ। পশ্চিমবঙ্গ ওড়িশার মৎস্যজীবীদের উত্তর বঙ্গোপসাগর এর দিকে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সমুদ্র উত্তাল থাকবে এবং সমুদ্রের ভেতরে ৪৫ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বইবে। দক্ষিণ আন্দামান সাগরে বৃহস্পতিবার তৈরি হবে নিম্নচাপ। এর কারণে বুধবার থেকেই মৎস্যজীবীদের আন্দামান সাগর ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এ প্রবেশ করতে নিষেধ করা হচ্ছে। পরবর্তী ঘোষণার আগে পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।