পৌষ সংক্রান্তি মানেই শীতের যাই যাই ভাব। চলতি বছরে সংক্রান্তির পরই একধাক্কায় বেড়েছিল তাপমাত্রার পারদ। কিন্তু তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ফের নেমেছে তাপমাত্রা। মাঘ মাসে এই ভাবে শীতকে বাংলা কাঁপাতে সচরাচর দেখা যায় না। তবে এই বছর হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যাচ্ছে। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিনে একাধিক জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ। এমনিতেই ১৩ বছরের মধ্যে সব থেকে শীতলতম দিন রেকর্ড করেছে ফেব্রুয়ারির কলকাতা। কিন্তু রাজ্যের বাকি অঞ্চলেও পরিস্থিতি একই রকম।
সব জেলাতেই পারদ ১০-এর নীচে রেকর্ড করা হয়েছে। তবে এর মধ্যে সব থেকে বেশি শীত ছিল পানাগড়ে। এ দিন সেখানে তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে ৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। শান্তিনিকেতনে তাপমাত্রা ছিল ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খড়গপুরে তাপমাত্রা ছিল ৭.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, সোমবার দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৫ ডিগ্রি কম। বুধবার পর্যন্ত একই রকম ঠান্ডার প্রকোপ থাকবে। পাশাপাশি হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে।
শ্রীনিকেতন হাওয়া অফিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, সোমবার দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের তুলনায় ৬ ডিগ্রি কম। বীরভূমে তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি শৈত্যপ্রবাহ বজায় থাকবে বুধবার পর্যন্ত। পাশাপাশি হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে অল্পবিস্তর তাপমাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেও ঝোড়ো ব্যাটিং করবে শীত। উত্তরবঙ্গে ঘন কুয়াশা থাকবে আরও ২৪ ঘণ্টা। দৃশ্যমানতা কোথাও কোথাও ৫০ মিটারের কাছাকাছি নামবে। এর পাশাপাশি শৈত্যপ্রবাহের প্রকোপ রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। বাঁকুড়া, পশ্চিম-বর্ধমান, পুরুলিয়া ইত্যাদি জেলায় মঙ্গলবার পর্যন্ত শৈত্যপ্রবাহের সর্তকতা জারি করা হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে।
ঠিক একইভাবে শৈত্যপ্রবাহের সর্তকতা জারি করা হয়েছে মালদা জেলাতেও। জেলায় সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকবে। বেলা বাড়লে কুয়াশা সরে যাবে। আংশিক মেঘলা থাকবে আকাশ। রবিবার নতুন করে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে। ফেব্রুয়ারি শুরুতে ফের আবহাওয়ার পরিবর্তন হবে উত্তর-পশ্চিম ভারতে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত এই ভাবেই শীতের দাপট বজায় থাকবে। এখনই বাংলা থেকে বিদায় নিচ্ছে না শীত। শীতের প্রকোপ বজায় থাকার পাশাপাশি সকালবেলায় কুয়াশাও লক্ষ্য করা যাবে। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে কুয়াশা কেটে আকাশ পরিষ্কার হতে দেখা যাবে।