না চিঠি, না ফোন কল, শৌচাগারের বাইরে অভিনয়ের প্রস্তাব পান বিক্রান্ত মাসে

প্রথমে হিন্দি টেলিভিশন, তারপর ওয়েব সিরিজ থেকে সটান বলিউড, বিক্রান্ত মাসের (Vikrant Massey) কেরিয়ারের গ্রাফ ধীরে ধীরে পাল তুলেছে সাফল্যের দিকে। বলিউডে তার ছিল না কোনও গডফাদার, অভিনয়গুণে তিনি সকলকে এতটাই মুগ্ধ করেছেন যে পরিচালক প্রযোজকরা নিজে থেকেই একের পর এক কাজের সুযোগ নিয়ে হাজির হয়েছেন তার কাছে।

‘মির্জাপুর’ খ্যাত এই অভিনেতাকে আজ সকলেই চেনেন। তবে অভিনয় জগতের সঙ্গে তার সম্পর্কটা কিন্তু আরও বেশ কিছু দিনের পুরনো। তার কাছে প্রথম কাজের সুযোগটাও এসেছিল বড় অদ্ভুতভাবে। সম্প্রতি মুম্বাইয়ের একটি সংবাদমাধ্যমের কাছে পুরনো দিনের কথা শেয়ার করতে গিয়ে আবেগে ভাসলেন অভিনেতা।

VIKRANT MASSEY

‘লুটেরা’, ‘দিল ধড়কনে দো’, ‘হাফ গার্লফ্রেন্ড’সহ একাধিক সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্রের পর ‘মির্জাপুর’, ‘ছপাক’, ‘কার্গো’, ‘গিনি ওয়েডস সানি’, ‘হাসিনা দিলরুবা’, ‘১৪ ফেরে’ ও ‘লাভ হস্টেল’ এর মতো প্রজেক্টে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র পান তিনি। জানেন কি শৌচাগারের বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় এহেন অভিনেতার কাছে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখার সুযোগ এসেছিল?

সম্প্রতি বিক্রান্ত পুরনো সেই দিনের কথা স্মরণ করে বলেছেন, ‘‘শৌচাগারের বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে তখন। হঠাৎই এক মহিলা এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করলেন, ‘তুমি কি অভিনয় করতে চাও? তা হলে আমাদের অফিসে এসে দেখা কোরো।’ আমি পুরো হতভম্ব! ভীষণ চমকে গেলেও যাব বলেছিলাম তখনই।’’

VIKRANT MASSEY

ভাগ্য পরীক্ষা করে দেখার জন্য ওই মহিলার দেওয়া অ্যাড্রেসে চলেও গিয়েছিলেন বিক্রান্ত। তখন তাকে ‘ধুম মচাও ধুম’ ধারাবাহিকে কাজের প্রস্তাব দেওয়া হয়। তার পারিশ্রমিক ছিল ৬ হাজার টাকা। বিক্রান্ত বলেছেন, ‘‘টাকার অঙ্কটা কত, গুরুত্ব দিইনি। অভিনয়ের সুযোগ, সেটে হাতেকলমে শেখা যাবে ভেবেই রাজি হয় যাই সানন্দে।’’

VIKRANT MASSEY

এরপর তার কেরিয়ারের মোড় ঘুরতে খুব বেশি দেরি হয়নি। শুরুটা মাত্র ৬ হাজার টাকা দিয়ে হলেও ৬ বছরের মধ্যেই হিন্দি টেলিভিশন, ওটিটি প্লাটফর্ম এবং বলিউডে নিজের জন্য বেশ পাকাপোক্ত জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। তার সব থেকে বড় গুণ তিনি যে কোনও কাজেই চরিত্রের প্রয়োজনে অনুসারে নিজেকে ভেঙে চুরে উপস্থাপন করতে পারেন। তাই আজ তিনি সাফল্যের এই পর্যায়ে পৌঁছতে পেরেছেন।