বলিউডে এসে ডুবলো নাম, ‘লাইগার’ দেখে বিরক্ত নায়ক নিজেই, বিজয়ের কীর্তি ভাইরাল

দক্ষিণী তারকা বিজয় দেবরকোন্ডা (Vijay Deverakonda) বহু সাধ করে এসেছিলেন বলিউডের (Bollywood) খাতায় নাম লেখাবেন বলে। অনন্যা পান্ডের (Ananya Pandey) সঙ্গে তার নতুন ছবি ‘লাইগার’ (Liger) নিয়ে তিনি ছিলেন দারুণ উৎসাহিত। ছবিমুক্তির আগে পর্যন্ত বিভিন্ন প্রোমোশনের অনুষ্ঠানে বিজয়ের শরীরী ভাষায় আত্মবিশ্বাস ফুটে উঠেছিল। এমনকি বলিউডের বয়কট ট্রেন্ডকেও তিনি বিশেষ পাত্তা দিতে চাইছিলেন না।

এদিকে বিজয়ের মতো দক্ষিণী সুপারস্টারকে পেয়ে বলিউডের ছবি নির্মাতারাও ভেবেছিলেন এবার বুঝি দর্শকদের মন পাওয়া যাবে। কিন্তু কোথায় কী? যে হাতেগোনা কয়েকজন মানুষ ছবি দেখতে এসেছিলেন তারা পর্যন্ত ছবি দেখে বিরক্ত হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। বিজয়ের অ্যাক্টিং স্কিল নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ নেই তবে অনন্যা পান্ডেকে নিয়ে হচ্ছে চরম সমালোচনা। আর এই পরিস্থিতি দেখে কেঁদে আকুল বিজয়।

সম্প্রতি একটি সিনেমা হলে এমনই কাণ্ড ঘটিয়েছেন বিজয়। হায়দ্রাবাদের এক প্রেক্ষাগৃহে দেখা গেল নিজের ছবি দেখে নিজেই হাউ হাউ করে কাঁদছেন অভিনেতা! নিজের ছবি দেখে তিনি আবেগপ্রবণ হয়ে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন এমনটা কিন্তু নয়, আসলে তিনি ছবির শোচনীয় অবস্থা দেখে আর কান্না ধরে রাখতে পারেননি। বলিউডে এটাই ছিল তার প্রথম সুযোগ, এই ফলাফলের জন্য তিনি প্রস্তুত ছিলেন না।

২৫শে আগস্ট প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ‘লাইগার’ ছবিটি। বলিউডের বয়কট ট্রেন্ড মেনে প্রথম দিন থেকেই প্রেক্ষাগৃহ ছিল ফাঁকা। এদিকে আবার যারা অল্প-বিস্তর ছবিটি দেখতে এসেছিলেন তারাও এমন ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করছেন যে তা কহতব্য নয়। দুর্বল চিত্রনাট্য, দুর্বল চিত্রগ্রহণের এই ছবিটিকে একেবারে ধরাশায়ী করে দিয়েছে অনন্যা পান্ডের দুর্বল অভিনয়। সবমিলিয়ে রীতিমত ফ্লপ হয়েছে এই ছবিটি।

যদিও আশা করা হয়েছিল যে সর্বভারতীয় স্তরে ছবিটি অনেক ভাল ফলাফল করবে। কিন্তু তেমনটা তো হলই না, উল্টে অনেক ক্ষেত্রে আবার প্রেক্ষাগৃহে দর্শকরা ছবি দেখে টিকিটের টাকা ফেরত চাইছেন এমনও ঘটনা কথাও শোনা যাচ্ছে। লাইগার সংক্রান্ত মিমে সোশ্যাল মিডিয়া ছাপিয়ে যাচ্ছে। এবার হলে বসে কান্নাকাটি করে বিজয় নিজেই হাসির খোরাক হয়ে বসলেন।

ছবিটি ‘লাল সিং চাড্ডা’, ‘রক্ষা বন্ধন’ এর থেকেও খারাপ আয় করেছে বলে জানা যাচ্ছে। ‘লাল সিং চাড্ডা’ এবং ‘রক্ষা বন্ধন’ প্রথম দু দিনে ৬ থেকে ৯ কোটি টাকা করে আয় করেছিল। সেই জায়গায় ‘লাইগার’ সাড়ে চার কোটির গন্ডিও পেরোতে পারলো না। এমনকি আইএমডিবিতেও লাইগারের রেটিং ১০ এর মধ্যে মাত্র ১.৭। ছবিটি সত্যিই দক্ষিণী অভিনেতার নাম ডুবিয়েছে বললে কিছু ভুল হবে না।