‘কলের বউ’য়ের টেপী থেকে ‘খড়কুটো’র গুনগুন, বাংলা টেলিভিশনে দীর্ঘ সময় ধরে দাপটের সঙ্গে কাজ করছেন অভিনেত্রী তৃণা সাহা (Trina Saha)। তিনি এবং তার স্বামী নীল ভট্টাচার্য (Neel Bhattacharya), দুজনেই এখন ইন্ডাস্ট্রির চেনা মুখ। সদ্য ধারাবাহিকের গণ্ডি পেরিয়ে সিনেমার পর্দায় পৌঁছে গিয়েছেন তৃণা। দর্শকদের কাছে হাসিখুশি, বাবলি টাইপের মেয়ে গুনগুনই হলো সেরা।
দীর্ঘ প্রায় ৬ বছর ধরে ইন্ডাস্ট্রিতে রয়েছেন তৃণা। চাকরি ছেড়ে দিয়ে বেছে নিয়েছিলেন ধারাবাহিকের কাজ। এই ধারাবাহিকই তাকে আজকে পৌঁছে দিয়েছে সাফল্যের শিখরে। টেলিভিশন থেকে সোজা সিনেমাতে চান্স পাওয়া তো মুখের কথা নয়। তৃণার সেই সৌভাগ্য হয়েছে।
তবে সিনেমাতে চান্স পাওয়ার জন্য নিজের আদর্শ, রুচিবোধ বিসর্জন দিতে পারবেন না গুনগুন। সম্প্রতি আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে একটি সাক্ষাৎকারে স্পষ্টত তা জানিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী। আবার অভিনেত্রী এও বলেছেন তিনি কখনও বিকিনি পরে দর্শকদের সম্মুখে আসতেও পারবেন না।
ইন্ডাস্ট্রির নায়িকাদের নিয়ে দর্শকদের অভিযোগের অন্ত নেই। বিশেষত তাদের খোলামেলা পোশাক এবং খোলামেলা সাহসী দৃশ্যে তাদের দেখলে অস্বস্তি হয় ভক্তদের। তৃণার কথায়, “আমাকে দর্শকেরা পছন্দ করেন। হাসি-খুশি, মজার, ‘পুতুল পুতুল’ মেয়ে ভাবেন। এখন এই সময় আমি যদি বিকিনি পরে ঘুরতে থাকি, তা হলে মনে হয় না আমার দর্শক সেটা মেনে নেবেন।”
ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও ভীষণ সচেতন অভিনেত্রী। তিনি বলেছেন, “আমি নায়িকা, হতে পারে আমি ‘জনসাধারণের সম্পত্তি’। কিন্তু কাল রাতে আমি কি খেলাম, কার সঙ্গে ছিলাম, এটা আমি নিজে থেকে না জানালে কেউ কিন্তু জানতে পারবে না। আলিয়া ভট্ট যদি না জানাতেন উনি অন্তঃসত্ত্বা তা হলে কিন্তু কেউ জানতেন না। এখনও তো অনুষ্কা শর্মার মেয়ের মুখ দেখিনি আমরা, অথচ করিনার ছেলেদের দেখছি। জীবনের কোন অংশটা কে প্রকাশ করবেন, সেটা তাঁর বিষয়।”
শয্যা দৃশ্য, খোলামেলা দৃশ্যতেও আপত্তি রয়েছে তাদের দুজনেরই। তৃণা সরাসরিই বলেছেন, “আমি শয্যাদৃশ্য করতে পারব না। খুব খোলামেলা দৃশ্যও করব না। আর এই ধরনের কাজের সুযোগ এলেও আমি জানি আমার স্বামী নীলও এটা করবে না। আমি যেমন শয্যাদৃশ্য করব না। নিজেকে সে ভাবে দেখতে চাইব না। তেমনি নীলকেও ওই ভাবে দেখতে পারব না। সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমরা সাম্যে বিশ্বাস করি। ও যা করবে না। আমিও করব না। ব্যস!”