সারা বাংলার দর্শকদের মন এখন খুবই খারাপ। স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘খড়কুটো’ (Khorkuto) ধারাবাহিকের গুনগুন চরিত্রটির মৃত্যু দেখে চোখের জলে ভাসছেন দর্শকরা। হাসিখুশি প্রাণবন্ত মেয়েটির এই করুণ পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না কেউ। লেখিকা লীনা গাঙ্গুলীর কাছে বারবার আবেদন রেখেছিলেন দর্শকরা যাতে ধারাবাহিকের শেষটা অন্তত ট্রাজেডি দিয়ে না হয়। কিন্তু কথা রাখেননি লীনা গাঙ্গুলী।
গোটা ‘খড়কুটো’ পরিবার এবং সারা বাংলার হাজার হাজার দর্শককে কাঁদিয়ে বিদায় নিল গুনগুন। ব্রেন টিউমার অপারেশন করাতে গিয়ে চির ঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছে গুনগুন। নায়িকার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হয়ে যাবে ধারাবাহিকটি। আগামী বুধবার ধারাবাহিকের শেষ সম্প্রচার। তবে চমক কিন্তু এখানে শেষ হচ্ছে না। জানালেন অভিনেত্রী তৃণা সাহা।
বাংলা ধারাবাহিকের এই নায়িকা এর আগেও বহু ধারাবাহিকে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কিন্তু দর্শক গুনগুনকে যতটা আপন করে নিয়েছেন, যতটা ভালোবেসেছেন তেমন ভালবাসা তিনি কখনও পাননি। ইতিমধ্যেই ধারাবাহিকে শেষ শুটিং হয়ে গিয়েছে। দুই বছরের জার্নি এবার শেষ হল। স্বভাবতই তাই মন খুবই খারাপ তৃণার। সেটের সকলকে তিনি তো মিস করছেনই, সেই সঙ্গে মিস করছেন গুনগুন চরিত্রটিকেও।
অভিনেত্রীর কথায়, “আসলে সিরিয়াল তো সবাই করে। তবে সিরিয়াল করলেই যে সবার সঙ্গে আত্মিক যোগ তৈরি হয় এমনটা তো নয়। তবে খড়কুটো একটা পরিবার হয়ে গিয়েছে। খড়কুটোর সেটটা সকলের পরিবারের মত। ধারাবাহিকে যেমন দেখতে লোকে ক্যামেরার পিছনে কিন্তু আমরা সেভাবেই থাকতাম। একসঙ্গে খাওয়া থেকে রিল বানানো, প্রতিদিন দুপুরের খাওয়াটা একসঙ্গেই করেছি।”
অভিনেত্রী আরও বলেছেন, “গুনগুন চরিত্রটা অনেক কিছু দিয়েছে। এতকিছু একটা চরিত্র দিতে পারে! লোকে ভালোবেসেছে, আশীর্বাদ করেছে, আবার ঘৃণা করেছে, কখনও সমালোচনা হয়েছে। আসলে যার শুরু আছে, তার শেষও আছে। তবে পরিবার থেকে বিচ্ছেদের অনুভূতিটা যেন হচ্ছে।” একটি অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “একজন এসেছিলেন তিনি বলেন তার স্ত্রীর ক্যান্সার। উনি শুধু একটা সময় হাসেন যখন গুনগুনকে দেখেন। প্লিজ গুনগুনকে মারবেন না। আসলে এটাই বড় পাওয়া আমার। সবাই মিলে আমরা সকলকে হাসাতে পেরেছি এটাই অনেক।”
কিন্তু ধারাবাহিকের শেষটাতে তো গুনগুনকে মেরেই ফেললেন লীনা গাঙ্গুলী! তাই এখন দর্শকদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে তাকে। যদিও তৃণা অবশ্য বলেছেন, “গুনগুন প্রথম থেকে ছিল, আজও আছে, আর থাকবে। তবে শেষ দিনের পর্বে বিরাট টুইস্ট অপেক্ষা করছে।” তাহলে কি নিজের মেয়ের মধ্যেই আবার ফিরে আসবে গুনগুন? গল্প এগিয়ে যাবে বেশ কয়েকটা বছর? জানতে হলে অপেক্ষা করতে হবে আর কয়েকটা দিন।