ভুলে যান দিঘা,পুরি! ঘুরে আসুন বাংলার খুব কাছেই ভারতের অ্যামাজন থেকে

দীঘা-দার্জিলিং নয়, এবার শীতে ঘুরে আসুন বাংলার কাছেই ভারতের অ্যামাজন থেকে

ভ্রমণপিপাসু বাঙালি প্রত্যেক বছর নানান জায়গায় ঘুরতে যাই। তাদের মধ্যে অনেকেই আছে যার জঙ্গলে ঘুরতে যেতে পছন্দ করে। কিন্তু বাজেটের কারণে সেভাবে জঙ্গল দেখা হয়ে ওঠে না। তাই আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি আজকে এমন এক জায়গায় সন্ধান যেটাকে মিনি অ্যামাজন (Mini Amazon) বলা হয়। খুব কম খরচেই এখানে ঘুরতে পারবেন। চলুন জেনে নিই জায়গাটি কোথায়।

আমরা কমবেশি অনেকেই সুন্দরবন ঘুরতে যেতে পছন্দ করি। সেখানকার জঙ্গলে ঘেরা পরিবেশ আমাদের মন জয় করে নেয়। কিন্তু এই সুন্দরবনের মতোই আরও একটি জায়গা আছে যেটি আরও একবার আপনার মন জয় করে নেবে। জায়গাটি ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য হিসাবে পরিচিত। নাম ভিতরকণিকা (Bhitarkanika)

Bhitarkanika

   

ওড়িশার চাঁদিপুর ও পারাদ্বীপের মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত ভিতরকণিকা। ব্রাহ্মণী এবং বৈতরণী নদীর মধ্যিখানের বদ্বীপ দ্বারা গঠিত এই ম্যানগ্রোভ অরণ্যটি। ৬৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই ম্যানগ্রোভটি। আর এই জায়গাটিকে বলা হয় মিনি আমাজন। ১৯৭৫ সালে এই অভয়ারণ্যটিতে শুরু হয় কুমির সংরক্ষণ। তবে তার আগে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত এই জায়গাটি ছিল জমিদারদের মালিকানাধীন।

এরপর ওড়িশা থেকে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই অঞ্চলটিও ওড়িশা সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। ১৯৭৫ সালে এই ভিতরকণিকা ম্যানগ্রোভকে অভয়ারণ্য বলে ঘোষণা করা হয়। এরপর এই অরণ্যের ১৪৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে ১৯৯৮ সালের সেপ্টেম্বরে জতীয় উদ্যান বলে ঘোষণা করে সরকার। তারপরেই ২০০২ সালে আন্তর্জাতিক গুরুত্বের নিরিখে রামসার জলাভূমি হিসেবে মনোনিত হয় এই ভিতরকণিকা জাতীয় উদ্যান।

Bhitarkanika

অনেকেই হয়তো জানেন না, কিন্তু এই জাতীয় উদ্যানটি বিশ্বের বৃহত্তম সাদা কুমিরদের বাসস্থান। এখানে নোনা জলের কুমিরদের সংখ্যাও নেহাত কম নয়। প্রতি বছর এই শীতের মরসুমেই এই কুমিরের প্রজনন প্রক্রিয়া চলে এবং জন্ম নেয় আরও হাজার হাজার কুমির। ভারতের ৭০ শতাংশ নোনা জলের কুমির এই জাতীয় উদ্যানেই পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন : দীঘা-পুরী নয়, মাত্র ৫০০ টাকায় ঘুরে আসুন এই টুরিস্ট স্পটগুলো থেকে

Bhitarkanika

আরও পড়ুন : মাত্র ১০ টাকায় রাজার হালে খাওয়া-দাওয়া! ঘুরে আসুন বাংলার এই রাজবাড়ী থেকে

অনেকেই হয়তো ভাবছেন কিভাবে এই উদ্যানে পৌঁছাবেন। তার জন্য কলকাতা থেকে ট্রেনে বা ফ্লাইটে পৌঁছতে হবে ভূবনেশ্বর। সেখান থেকে রত্নগিরিমুখী ট্যাক্সি ভাড়া করতে হবে। সেখানে এক রাত থেকে পরের দিন ভিতরকণিকা ম্যানগ্রোভের শোভা দেখতে রওনা হন পর্যটকরা।