আইপিএলের ৬ অবিশ্বাস্য রেকর্ড, যা ১১ বছরেও কেউ ভাঙতে পারেনি

ভারতের জনপ্রিয় ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আইপিএল। বিশ্ব ক্রিকেটকে বদলে দেওয়া এই টুর্নামেন্টের পালকে প্রতিনিয়তই যোগ হচ্ছে নজরকাড়া বিভিন্ন রেকর্ড। রেকর্ড আসলে অনেকটা ভাঙ্গা-গড়ার খেলা। একটি নতুন রেকর্ড হওয়া মাত্রই অপেক্ষার পালা শুরু হয় কখন এটি ভেঙ্গে তৈরি হবে অন্য আরেকটি রেকর্ড। তবে কিছু কিছু রেকর্ড আবার ভাঙ্গা  অনেকটা জটিল।  যেমন- আইপিএলে গেইলের দ্রুততম শতক, সর্বোচ্চ সংখ্যক শতক কিংবা অমিত মিশ্র’র তিন হ্যাটট্রিক।

আইপিএল মানেই রেকর্ডের ছড়াছড়ি৷ এর মাঝে আইপিএলের এমন একাধিক রেকর্ড রয়েছে, যা ভবিষ্যতে ভাঙা সত্যিই কঠিন৷ চলুন দেখে নেয়া যাক সেরকমই কিছু আইপিএল রেকর্ড।

   

সোহেল তানভীরের ৬ উইকেট:

আইপিএলের প্রথম মরশুমে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলা পাকিস্তানের জোরে বোলার সোহেল তনভীরের নামে এক ম্যাচে সবচেয়ে ভালো বোলিংয়ের রেকর্ড নথিভুক্ত রয়েছে। তিনি চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে এই রেকর্ড গড়েছিলেন। ৪ মে ২০০৮ এ জয়পুরের সোয়াই মানসিং স্টেডিয়ামে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে তনভীর দুর্দান্ত বোলিং করে ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ৬ উইকেট হাসিল করেছিল,যা কিনা আইপিএলের ইতিহাসে যে কোনো বোলার দ্বারা করা সর্বশ্রেষ্ঠ প্রদর্শন।

এখনো পর্যন্ত হওয়া আইপিএলের ১১ মরশুমে সোহেল তনভীর ছাড়া মাত্র একজন বোলারই ৬টি উইকেট নিতে পেরেছেন।অস্ট্রেলিয়ার লেগ স্পিনার অ্যাডাম জম্পা ২০১৬য় এই কৃতিত্ব দেখান। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিরুদ্ধে খেলা হওয়া এই ম্যাচে তিনি চার ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৬ জন ব্যাটসম্যানকে আউট করেছিলেন।

ক্রিস গেইলের ৬৬ বলে বিধ্বংসী ১৭৫:

২০১৩ সালে আইপিএলের ষষ্ঠ আসরে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে মাত্র ৬৬ বলে ১৭৫ রানের ইনিংস খেলেন গেইল। ১৭ টি ছয় আর ১৩ টি চারে সাজানো এই ইনিংস খেলার পথে গেইল ভেঙেছেন টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান, দ্রুততম সেঞ্চুরি ও সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড।

গেইলের এক ওভারে ৩৭ রান :

গেইল ও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু নিয়ে আরো একটি রেকর্ড কিন্তু এবার অন্য আরেকটি ম্যাচে। ২০১১ সালে বেঙ্গালুরুর হয়ে প্রথমবারের মতো আইপিএল খেলতে নামেন গেইল। ঐ আসরেই তখনকার দল কোচি টাস্কার্সের বিপক্ষে প্রশান্ত পরমেশ্বরণের বলে এক ওভারে ৩৬ রান তোলেন গেইল। বোলার মাঝে একটি নো বল করলে মোট রান দাঁড়ায় এক ওভারে ৩৭। নো বলে সহ মোট ছক্কার মার ছিল ৪ টি। আর চারের মার ছিল তিনটি।

অমিত মিশ্রার তিন হ্যাটট্রিক

কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে পাঁচ উইকেট শিকার করাই মুশকিল। সেখানে হ্যাটট্রিকের কথা চিন্তা করা তো এক প্রকার আকাশের চাঁদকে হাতে নেওয়ার মত বিষয়। আর সেই কাজটাই এক-দিবার নয় তিনবার করেছেন অমিত মিশ্রা। ২০০৮, ২০১১, ২০১৩ এই তিন আসরে হ্যাটট্রিকগুলো করেছিলেন অমিত।

চেন্নাইয়ের টানা আটবার কোয়ালিফায়ারে খেলা

চেন্নাই সুপার কিংস আইপিএলের অন্যতম সফল একটি দল। এই বছর আবার দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আইপিএলে ফিরছে তাঁরা। কিন্তু চেন্নাই অনন্য এক রেকর্ডের মালিক যা আর অন্য কেউ করতে পারেনি । সিএসকে একমাত্র দল যারা আইপিলে টানা আসর কোয়ালিফায়ার খেলেছে। হয়তো দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা না পেলে টানা টানা দশ বছরই খেলতো।

সুরেশ রায়নার টানা ম্যাচ খেলার রেকর্ড

১৬১ ম্যাচ খেলে ৩৪.১৩ গড়ে ৪৫৪০ রান নিয়ে আইপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক সুরেশ রায়না। তাঁরও একটি রেকর্ড ভাঙা প্রায় অসম্ভব। কোনো এক ফ্রাঞ্চাইজির হয়ে টানা ম্যাচ খেলার রেকর্ড। ২০০৮ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত চেনানাইয়ে থাকাকালীন সব ম্যাচে অংশ নিয়েছেন সুরেশ রায়না।