খলনায়ক (Villain) না থাকলে নায়কের (Hero) চরিত্রের গুরুত্ব ছবিতে ফুটিয়ে তোলা যায় কি? ইতিহাস সাক্ষী, যে ছবির ভিলেন যত বেশি ভয়ঙ্কর সেই ছবি তত বেশি হিট। তবে নায়কই যদি হয়ে ওঠেন খলনায়ক তাহলে ইন্ডাস্ট্রির তাবড় তাবড় খলনায়কদেরও মাত দিতে পারেন তারা। টলিউডে (Tollywood) এই সংখ্যাটা নেহাত কিছু কম নয়। প্রসেনজিৎ থেকে শুরু করে এই যীশু সেনগুপ্ত, টলিউডে এমন ৬ সুপারস্টার নায়ক রয়েছেন যারা খলনায়কের ভূমিকায় অসাধারণ অভিনয় করেছেন।
প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী (Prasenjit Chatterjee) : এই তালিকায় প্রথমেই নাম আসে যার তিনি হলেন প্রসেনজিৎ। বিরসা দাশগুপ্তের ‘ওয়ান’ ছবিতে তার চরিত্রটি ছিল সম্পূর্ণ নেগেটিভ। এরপর কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের ‘ক্ষত’তেও নেগেটিভ চরিত্রে তার অভিনয় দাগ কাটে দর্শকদের মনে। বিভিন্ন শেডসের চরিত্রে নিজেকে মেলে ধরে প্রসেনজিৎ বারবার প্রমাণ করেছেন কেন তিনিই খোদ ইন্ডাস্ট্রি!
যীশু সেনগুপ্ত (Jishu Sengupta) : টলিউড, বলিউড থেকে শুরু করে দক্ষিণের সিনেমা, যীশু সেনগুপ্ত এখন সিনে দুনিয়ার দাপুটে অভিনেতা। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘রাজকাহিনী’তে তার চরিত্রের নৃশংসতা দেখলেই গায়ে কাঁটা দেয়। আবার ‘জুলফিকার’ এর কাশীনাথ কুন্ডুকেই বা ভুলবেন কিভাবে? বাংলার এই হ্যান্ডসাম হিরো প্রয়োজনে ভয়ঙ্কর ভিলেনও হয়ে উঠতে পারেন তার প্রমাণ রেখেছেন বারবার।
পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় (Parambrata Chatterjee) : কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের ‘পাসওয়ার্ড’ ছবিতে সাইবার হ্যাকারের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন পরমব্রত। তার বিপরীতে ছিলেন পাওলি দাম।
অনির্বাণ ভট্টাচার্য (Anirban Bhattacharya) : সারাবাংলার হার্টথ্রব অনির্বাণ ভট্টাচার্যও প্রয়োজনে ভয়ঙ্কর ভিলেন হয়ে উঠতে পারেন তার প্রমাণ মিলেছে বহুবার। ‘এক যে ছিল রাজা’ থেকে ‘উমা’, অনির্বাণ ভট্টাচার্য নিজেকে নেগেটিভ চরিত্রে মেলে ধরে প্রমাণ করেছেন তিনি কত প্রতিভাবান অভিনেতা।
অর্জুন চক্রবর্তী (Arjun Chakraborty) : অর্জুন চক্রবর্তীর কেরিয়ারের উল্লেখযোগ্য ছবি হয়ে থাকবে অরিন্দম শীলের ‘ব্যোমকেশ গোত্র’। এই ছবিতে ভিলেনের চরিত্রে তার অভিনয় মনে রাখার মত।
আবির চট্টোপাধ্যায় (Abir Chatterjee) : বাংলা সিনেমার হার্টথ্রব আবিরও একাধিক ছবিতে ভিলেন হয়ে উঠেছেন। ‘কানামাছি’ থেকে ‘বর্ণপরিচয়’, কিংবা ‘রাজকাহিনী’, আবির চট্টোপাধ্যায় যদি হন ভিলেন তাহলে দর্শকদের শিরদাঁড়া দিয়ে ঠান্ডা স্রোত বয়ে যাবেই।