যার হাত ধরে এসেছিলেন টলিউডে পার্থকে পেয়ে সেই প্রযোজককেই ‘ঠকান’ অর্পিতা

মাত্র ১৭-১৮ বছর বয়সে মফস্বল থেকে কলকাতায় অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এসেছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee)। অল্পবিস্তর মডেলিং করার পর অভিনয়ের সুযোগ পেতে খুব একটা দেরি হয়নি তার। ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করতে করতেই হাতে পেয়েছিলেন নায়িকা হওয়ার সুযোগ। সেই সুযোগ তাকে পাইয়ে দিয়েছিলেন টলিউডেরই (Tollywood) একজন প্রযোজক।

প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী, পরমব্রত চ্যাটার্জীদের ছবিতে কাজের সুযোগ পেয়েছিলেন অর্পিতা। অভিনয় করেছিলেন ব্যোমকেশ সিরিজেও। এরপর টলিউড প্রযোজক গৌতম সাহা যখন তার ছবি ‘হৃদয়ে লেখ নাম’ এর জন্য নায়িকার মুখ খুঁজছিলেন তখন অর্পিতাকে তার পছন্দ হয়। এটাই ছিল টলিউডে নায়িকা হিসেবে অর্পিতার প্রথম এবং শেষ সুযোগ।

অথচ নায়িকা হিসেবে যখন সেই সুযোগ তার হাতে এল তখন তিনি নিজেই ইন্ডাস্ট্রি থেকে দূরে সরে গেলেন। তার সঙ্গে কাজ করেছেন যে পরিচালক এবং প্রযোজকরা এক কথায় স্বীকার করে নিচ্ছেন অভিনয় দক্ষতা ছিল তার মধ্যে। তবে তিনি ছিলেন প্রচণ্ড উচ্চাকাঙ্ক্ষী। সেই কারণেই কি আজ তার এই দুর্দশা হল?

অর্পিতার এই অবস্থা দেখে প্রযোজক নিজেও হতবাক। প্রযোজক জানিয়েছেন অর্পিতার মধ্যে তেমন একটা টাকার লোভ কখনও দেখেননি তিনি। গৌতম সাহা জানিয়েছেন শুটিংয়ের জন্য হোটেল খাওয়া-দাওয়া খরচ মিলিয়ে মাত্র ৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন তিনি। তার ফ্ল্যাট থেকে কিনা ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে! হিসেব মেলাতে পারছেন না প্রযোজক।

‘হৃদয় লেখ নাম’ মুক্তি পাওয়ার পর নায়িকা হিসেবে অর্পিতার পরিচিতি বেশ বাড়তে থাকে। সেই সূত্রে সমাজের অনেক উঁচুস্তরের লোকজনদের সঙ্গে ওঠাবসা শুরু হয় অর্পিতার। তবে ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে ক্রমশ দূরত্ব বাড়তে থাকে তার। এমনকি যে প্রযোজকের হাত ধরে তিনি টলিউডের প্রথম নায়িকার চরিত্রে সুযোগ পেয়েছিলেন তাকেও ফোন করে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন।

অর্পিতার অভিযোগ ছিল নায়িকা হিসেবে তাকে সেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি ছবিতে। তার পরিবর্তে মনিকা বেদির উপর অতিরিক্ত ফোকাস করা হয় যা তার একেবারেই পছন্দ ছিল না। এরপরেই ইন্ডাস্ট্রি থেকে মিলিয়ে যায় অর্পিতার নাম। ইডির তদন্তে জানা যাচ্ছে ঠিক তখন থেকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বাড়তে থাকে তার ঘনিষ্ঠতা।