চেহারা নিয়ে উঠতে-বসতে খোঁটা শুনতে হচ্ছে এই টলিউড অভিনেত্রীদের

একবিংশ শতাব্দিতেও গুণ নয়, প্রথমত রূপ হয় মহিলাদের বিচারের মাপকাঠি। ঘরে-বাইরে সর্বত্র চেহারাটা একইরকম। তবে সেই মহিলা যদি হন ধারাবাহিকের (Bengali Mega Serial) নায়িকা তবে তো কথাই নেই। চেনা-অচেনা ব্যক্তিরা তাকে নিয়ে সমালোচনা করতে ছাড়েন না। আদতে বিনোদন জগতের তারকারা নেটিজেনদের কাছে সফট টার্গেট। নায়িকাদের রূপ থাকতেই হবে। আর তথাকথিত ‘সুন্দরী’ বিচারের মাপকাঠিই হলো ফর্সা রং। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে মনে, নেটিজেনরা কি তবে নায়িকাদের মধ্যেই খুঁজছেন বিয়ের পাত্রী?

বাংলা ধারাবাহিকের মধ্যে ‘পিলু’ (Pilu) ধারাবাহিকের অভিনেত্রী মেঘা দাঁ (Megha Dawn), ‘উমা’র (Uma) শিঞ্জিনী চক্রবর্তী (Shinjinee Chakraborty) থেকে শুরু করে ‘আয় তবে সহচরী’র (Aay Tobe Sohochori) এমিলা সাধুঁখা, সকলেই কমবেশি এই বর্ণবৈষম্যের শিকার। তবে বর্ণবৈষম্যের শিকার হয়ে সব থেকে মারাত্মক অভিজ্ঞতা হয়েছিল অভিনেত্রী শ্রুতি দাসের (Shruti Das)। নেটিজেনদের মধ্যে কেউ কেউ শ্রুতির মৃত্যুকামনাও করেছিলেন। তথাকথিত আধুনিক সভ্যতার যুগে এমনটা মোটেও কাম্য নয়।

শ্রুতির গায়ের রং কালো। এই একটি কারণই নাকি তাকে ইন্ডাস্ট্রি থেকে বয়কট করার জন্য যথেষ্ট নেটিজেনদের একাংশের কাছে। তাই তার দিকে কাদা ছেটাতে বা তাকে অপদস্থ করার কোনও সুযোগই হাতছাড়া করেন না শ্রুতির সমালোচকরা। আস্তে আস্তে সেই সংখ্যাটা বাড়ছে। এখন নেটিজেনদের নজরে পিলু, উমা, কলিরাও রয়েছেন। বডি শেমিংয়ের মুখে বার বার পড়তে হয় তাদের। নেটিজেনদের চোখে নায়িকাদের সংজ্ঞা কী? শুধুই ধবধবে ফর্সা ত্বক?

অবশ্য শুধু নায়িকারাই নন। ধারাবাহিকের নায়কদের নিয়েও বডি শেমিং কিছু কম হয় না। নায়িকা বলতে যেমন অনেকে বোঝেন ধবধবে ফর্সা ত্বকের অভিনেত্রী, তাদের নজরে নায়কও হতে হবে ঘোড়ায় চড়ে আসা রাজকুমার! দর্শকের মনে নায়ক-নায়িকার চেহারা নিয়ে গেঁথে রয়েছে কিছু বদ্ধমূল ধারণা। একটু এদিক-ওদিক হলেই শুরু হয় বুলিং। আর মাধ্যম হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়া তো সকলের জন্যই খোলা।

জি বাংলা নতুন ধারাবাহিক পিলুর অভিনেত্রী মেঘা দাঁ আপাতত নেটিজেনদের নজরে রয়েছেন। তার ত্বকের রং কেমন, তিনি দেখতে কেমন, সেই নিয়ে চলছে কাটাছেঁড়া। উল্লেখ্য মেঘা এই প্রথম অভিনয়ে পা রাখলেন। নাচের জগতের মানুষ তিনি। জি বাংলার ‘ডান্স বাংলা ডান্স’ রিয়েলিটি শো’য়ের প্রতিযোগিনী ছিলেন। তাকে অভিনয় জগতে দেখে অনেকেই নাক সিঁটকাচ্ছেন।