এখনকার কোনও বাংলা সিরিয়াল দেখার যোগ্য নয় : বিপ্লব চ্যাটার্জী

শেষবার পাভেলের ‘অসুর’ ছবিতে নুসরাত জাহানের বাবার চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে বিপ্লব চ্যাটার্জিকে (Biplab Chatterjee)। এই বয়সেও তার অভিনয় দর্শকদের আকর্ষণ করে। বাংলা সিনেমা জগতের দুর্দান্ত খলনায়ক, কাটা দাগে ভর্তি মুখ দেখলেই মনে জাগে শিহরণ! এক সময় নাকি তাকে দূর থেকে দেখলেই ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা ছুটে পালাতো। তিনি ফের ফিরলেন পর্দায়।

স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ (Mahapith Tarapith) ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন বিপ্লব চ্যাটার্জী। তিনদিনের শুটিং সারা। আর হয় তো কিছুদিন শুটিং ফ্লোরে যাতায়াত করলেই তার কাজটি সারা হয়ে যাবে। ছোট পর্দায় অভিনয়ের অভিজ্ঞতা, বর্তমান সময়কালে বাংলা ধারাবাহিকের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে নিজের মনের কথা উজাড় করে দিলেন বিপ্লব চ্যাটার্জী।

বরাবর স্পষ্টবক্তা হিসেবেই সাধারণের কাছে পরিচিতি পেয়ে এসেছেন বিপ্লব চ্যাটার্জী। তার খোলা মনের কথা হজম করা অনেকের পক্ষেই হয়তো কষ্টকর। তবে স্পষ্ট কথায় কষ্ট রয়েছে বলে বিশ্বাস করেন না বিপ্লব চ্যাটার্জী। তাই টলিউডের একমাত্র এই বর্ষীয়ান অভিনেতাই টলিউডের ভালোখারাপ দিক চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে পারেন। এই যেমন সদ্য বাংলা ধারাবাহিকের হালহকিকত তুলে ধরে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিলেন টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিকে।

বিপ্লব চ্যাটার্জীর কথায়, ইদানিং ধারাবাহিকের মান অনেক পড়ে গিয়েছে। তবে ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ এবং ‘আয় তবে সহচরী’কে তিনি ব্যতিক্রম বলে মনে করেন। রাজা সেনের ‘সুবর্ণলতা’র মতো ধারাবাহিক আর আসবে না। কাজেই বাংলা টেলিভিশন নিয়ে খুব বেশি কথা বলতে তিনি রাজি নন। তবে তারই মধ্যে বাংলা ধারাবাহিকের টিআরপি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন বিপ্লব চ্যাটার্জী।

তিনি যে দুটি ধারাবাহিকের নাম নিয়েছেন, দুটি ধারাবাহিকেরই টিআরপি মান বেশ নিচে। সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠলে আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে তার বিস্ফোরক মন্তব্য, ‘‘টাকা দিয়ে টিআরপি কেনা যায় এ কথা কে না জানে! যে যাই বলুন, ‘সহচরী’তে সাহানা দত্তের চিত্রনাট্য আর কণীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিনয় আমার ভীষণ ভাল লাগছে। কাজ করতে এসে দেখছি, ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’-এর সেটের সবাইও ভীষণ ভদ্র।”

‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ ধারাবাহিকে ‘বিষ্ণুদাস’ নামের এক কীর্তনীয়ার চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি। বয়সের ভারে গান গাইতে পারেন না ‘বিষ্ণুদাস’। তার অভাবের সংসারে তার সঙ্গে থাকেন পালিতা অনাথ নাতনি ‘রাধারানী’। তিনি তাকে বিয়ে করতে চান। তবে বাদ সেধেছে অভাব। বিষ্ণুদাসের পাশে দাঁড়াতে তার কুটিরে আসবেন বামদেব।