যেহেতু করোনাভাইরাস এর অন্যতম লক্ষণ জ্বর,কাশি ইত্যাদি, তাই সামান্য ঠান্ডা লেগে কাশি হলেই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরী হয়ে যাচ্ছে। ঠিক কোন কোন উপসর্গ দেখলে করোনা পরীক্ষা করা উচিত তা নিয়েই এবার গাইডলাইন প্রকাশ করলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
ফ্রন্ট নিয়ার্সের’পাবলিক হেলথ’মেডিক্যাল জার্নালে সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করে গবেষকরা বলেছেন সর্দি-কাশি অথবা জ্বর মানেই ভাইরাসের সংক্রমণ নয় এগুলি সামান্য ঠান্ডা লেগেও হতে পারে। কতগুলি উপসর্গ পরপর দেখা গেলে তবেই করোনা টেস্ট করানো উচিত।
যে যে উপসর্গ দেখা দিলে করোনা টেস্ট করা উচিত
এই উপসর্গগুলিকে করোনার প্রাথমিক উপসর্গ বলা হয়। এই উপসর্গগুলি হলেই একজন মানুষের কোভিড টেস্ট করানো উচিত। এই উপসর্গ গুলি হল :- ১। করোনা হলে জ্বরের সাথে শুকনো কাশি চলতে থাকে। ২। জ্বর ও শুকনো কাশির সাথে শুরু হয় শরীরে অসহ্য যন্ত্রণা। বিশেষ করে পেশির যন্ত্রণা শুরু হয়। ৩। জ্বর,সর্দি-কাশি ও পেশির যন্ত্রণার সাথে সাথেই বমি ভাব ও ঝিমুনি একসাথে দেখা দেবে।
উপরিউক্ত উপসর্গগুলি কয়েক দিন চলার পরে এক সময় হজমের সমস্যা তৈরি হবে। এই সময় পেট খারাপ ও হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে উপরিউক্ত উপসর্গগুলি যদি একটানা চলতে থাকে, তবে কোভিড টেস্ট করাতেই হবে।
উপরিউক্ত উপসর্গগুলি ছাড়াও প্রাথমিকপর্যায়ে অনেকের মধ্যে অনেক রকম ত্বকের ইনফেকশনও হয়। এছাড়াও করোনা আক্রান্ত হলে অনেকের হাতের কনুই, আঙুল বা পায়ের আঙুল, গোড়ালিতে লালচে বেগুনি রাশ ইত্যাদি দেখা যায়। অনেকের ক্ষেত্রে এই রাশগুলি এক সপ্তাহের মধ্যে মিলিয়েও যায়
তবে এইরকম উপসর্গ হলেন সতর্ক হওয়া উচিত। সংক্রমণ মারাত্মক আকারের হয়ে গেলে রোগীর চিন্তাভাবনা গুলিয়ে যাওয়া ভুল ভুলে যাওয়ার প্রবণতা ইত্যাদি দেখা যায় তীব্র মানসিক অবসাদ এমনকি ইনসোমেনিয়ার ও দেখা দিতে পারে।”
আরও পড়ুন : কীভাবে করোনা টেস্ট করা হয়, করোনা টেস্ট কত রকমের ও কি কি
উপরিউক্ত উপসর্গগুলি দেখা দেওয়ার পরও যদি চিকিৎসা শুরু না হয়, তাহলে সমস্যা আরো তীব্র আকার ধারণ করবে। এক্ষেত্রে কতগুলি উপসর্গ দেখা দেয় সেগুলি হল :- ১। তীব্র শ্বাসকষ্ট। ২। বুকে ব্যথা। ৩। মুখের স্বাদ গ্রহণ ক্ষমতা হারিয়ে যাওয়া ৪। নাকের ঘ্রাণ শক্তি হারিয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
তাই প্রাথমিক পর্যায়ের উপসর্গগুলি দেখা দিলে হেলাফেলা করবেন না একেবারেই, কোভিড টেস্ট করান। ঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করালে মানুষ সুস্থ হয়ে যান। কিন্তু প্রথমদিকে হেলাফেলা করলে পরিস্থিতি জটিলে পরিণত হয়।
আরও পড়ুন : কোন কোন পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা হয় দেখে নিন
আশা করি এবার বুঝতে পারছেন ঠান্ডা লেগে জ্বর সর্দি হওয়া আর করোনার সংক্রমণের মধ্যে পার্থক্য আছে। ঠান্ডা লাগলে জ্বর সর্দি হওয়াটা সাধারন একটা ব্যাপার আর করোনার অনেকগুলি উপসর্গের মধ্যে জ্বর হল একটি উপসর্গ। তাই এর সঙ্গে যখন অন্যান্য উপসর্গ গুলি দেখা দেবে তখনই করোনা টেস্টের কথা ভাবা উচিত। অযথা সামান্য কারণেই আতঙ্কিত হওয়া উচিত নয়।