রোজকার মাছের পদে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ আনতে পারতেন ঠাকুরবাড়ির হেঁসেলের কত্রীরা। পেঁয়াজ-রসুন বাদে শুধু আদা-লঙ্কা বাটার মশলা দিয়ে তারা বেঁধে ফেলতেন দুর্দান্ত সব মাছের পদ। এর মধ্যে মাছের ঝাল (Macher Jhal) ছিল জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির সব থেকে জনপ্রিয় একটি রেসিপি যেটা খেতে পছন্দ করতেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আজ এই প্রতিবেদনে রইল সেই রান্নার সহজ রেসিপি।
ঠাকুরবাড়ির মাছের ঝাল রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ : রুই মাছের পেটি, নুন, হলুদ গুঁড়ো, শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো, আদা বাটা, ধনে গুঁড়ো, সরষের তেল, পটল, আলু, টমেটো, পাঁচফোড়ন, তেজপাতা।
মাছের ঝাল বানানোর পদ্ধতি : প্রথমে মাছ ম্যারিনেট করে নিতে হবে। তার জন্য একটি পাত্রে মাছের টুকরো নিয়ে তার মধ্যে নুন, হলুদ গুঁড়ো এবং শুকনো লঙ্কার গুঁড়ো মাখিয়ে রেখে দিন। এবার মশলার একটা মিশ্রণ বানিয়ে নিতে হবে। তার জন্য একটি বাটিতে আদা বাটা, হলুদ গুঁড়ো, লঙ্কার গুঁড়ো, ধনে গুঁড়ো এবং জল মিশিয়ে নিন।
এবার রান্না শুরু করার আগে আলু, পটল, টমেটো ভাল করে ধুয়ে কেটে নিতে হবে। তারপর কড়াইতে তেল গরম করে প্রথমে মাছের টুকরোগুলো হালকা করে ভেজে নিতে হবে। খুব বেশি কড়া করে মাছ ভাজা যাবে না। এবার ওই তেলের মধ্যে পটল ও আলু ভেজে তুলে নিন।
এবার এর মধ্যে আরেকটু তেল দিতে হবে। তারপর মশলার মিশ্রণটা গরম তেলের মধ্যে দিয়ে আঁচ কমিয়ে কষিয়ে নিন। মশলা থেকে তেল ছাড়তে শুরু করলে এর মধ্যে টমেটোর টুকরো এবং নুন দিতে হবে। তারপর সামান্য জল দিয়ে ঝোল ফুটতে দিন। ঝোল ফুটতে শুরু করলে এর মধ্যে ভাজা মাছের টুকরোগুলো দিতে হবে।
এই সময় উপরে কয়েকটা চেরা কাঁচা লঙ্কা দিয়ে দিলে রান্নার স্বাদ আরও ভাল হবে। ৫ থেকে ৬ মিনিট ঢাকা দিয়ে মাছের ঝাল ফুটতে দিতে হবে। অন্য একটি কড়াইতে তেল গরম করে পাঁচফোড়ন ও তেজপাতা ফোড়ন দিন। এবার মাছ সমেত ঝোলটা এই ফোড়নের মধ্যে দিয়ে ঝোল ফুটে জল কমে আসা অব্দি রান্না হতে দিন। তারপর নামিয়ে গরম গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন মাছের ঝাল।