গর্ভে ধারণ করেননি, বড় করেছেন হৃদয় দিয়ে, মা সুস্মিতা`কে নিয়ে আবেগঘন অভিনেত্রীর পালিত কন্যা

গ্ল্যামার দুনিয়ার অন্যতম সেরা অভিনেত্রী তথা ভারতের প্রথম মিস ইউনিভার্স খেতাব বিজয়ী সুস্মিতা সেনের ছোট্টজগতটি গড়ে উঠেছে তাঁর দুই কন্যাকে কেন্দ্র করে। রেনে এবং আলিশা, সুস্মিতার দুই কন্যা। নেটিজেনরা ইতিমধ্যে নিশ্চিত জেনেই গিয়েছেন সুস্মিতা রেনে এবং আলিশার বায়োলজিক্যাল মাদার নন। অর্থাৎ তিনি নিজে গর্ভধারণ করে রেনে এবং আলিশাকে জন্ম দেননি। গর্ভে ধারণ করেননি ঠিকই, কিন্তু ভালবাসায় কোনও খামতি নেই।

সুস্মিতা যখন নিজে ২৪ বছরের, তখন তিনি তার বড় সন্তান হিসেবে রেনেকে দত্তক নেন। ২০১০ সালে ছোট সন্তান হিসেবে আলিশা আসে তাঁর জীবনে। রেনের মতই আলিশাকেও দত্তক নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। একজন সিঙ্গেল মাদার হিসেবে তিনি তার এই দুই কন্যা সন্তানের দায়িত্ব বেশ সফলভাবেই পালন করেছেন এবং এখনো করে চলেছেন।

   

সেই আলিশা বর্তমানে ১১ বছরের এক বালিকা। সে জানে, তাকে তাঁর মা দত্তক নিয়েছেন। অ্যাডপশন তথা দত্তক নেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পর্কে বেশ ভালভাবেই অবগত সে। সম্প্রতি সুস্মিতা তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে আলিশাকে নিয়ে একটি ছোট্ট ভিডিও তুলে ধরেছেন। যেখানে এই ছোট্ট মেয়েটি অ্যাডাপশন সম্পর্কে নিজের মতামত তুলে ধরেছে।

আলিশা মনে করে, যখন বড়রা কোনও ছোট শিশুকে দত্তক নেন তখন সেই শিশুটি বেঁচে থাকার অধিকার পায় এবং যিনি দত্তক নিচ্ছেন তিনি পাবেন অঢেল ভালোবাসা। এখন অনেকেই হয়তো ভাবতে পারেন দত্তক নিলেন সেই সন্তানের প্রতি দায়বদ্ধতা অনেক বেড়ে যায়। কিন্তু তেমনটা নয় বলেই মনে করে আলিশা। অ্যাডাপশন এবং নিজে গর্ভধারণ করে সন্তান জন্ম দেওয়ার মধ্যে কার্যত কোনো পার্থক্য নেই বলেই মনে করে আলিশা।

অ্যাডাপশন সম্পর্কে আলিশার এমন চিন্তাভাবনা জেনে আপ্লুত হয়েছেন সুস্মিতা। ভিডিওর ক্যাপশনে নিজের ভাবাবেগ ব্যক্ত করে তিনি লিখেছেন, “আলিশা আমাকে উদ্বুদ্ধ করছে। দুগ্গা, দুগ্গা। হৃদয় থেকে জন্ম নিয়েছে আলিশা”। সত্যিই তো, নাড়ির টান নেই তো কি হয়েছে? রেনে এবং আলিশার সঙ্গে সুস্মিতার হৃদয়ের টান রয়েছে।