দিওয়ালি উপলক্ষে সব কোম্পানিই বোনাস দেয়। বকিন্তু দিওয়ালি উপলক্ষে গাড়ি উপহার পাওয়ার কথা হয়তো কোনও বেসরকারি সংস্থার কর্মী কখনও কল্পনাই করতে পারবেন না। তবে গুজরাটের সুরাট শহরে ধনাঢ্য ব্যবসায়ী শিবজি ঢোলাকিয়ার কাছে এটা নতুন কোনও বিষয় নয়। প্রতিবছরই দিওয়ালিতে তিনি তার সংস্থার কর্মীদের দামি দামি উপহার দিয়ে থাকেন। এবছরও সেই নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটেনি।
গত মাসেই তিনি এসেছিলেন সংবাদের শিরোনামে। সেবারে তিনি তার বিশ্বস্ত তিন কর্মচারীকে ২৫ বছর তার কোম্পানিতে কাজ করার উপহার হিসেবে দিয়েছিলেন নতুন কোটি টাকা দামের তিনটি মার্সিডিজ এস ইউ ভি গাড়ি। আর তা সবার মনে দাগ কেটে ছিল। আবার সেই একই রকম তিনি এসেছেন সংবাদের শিরোনামে। আর এবারে তার উপহারের তোফা পেতে চলেছে তার অধীনস্থ কোম্পানির ৬০০ বিশেষ হিরে পালিশে দক্ষ কর্মচারী। এমনই প্রত্যেক বছরই দিওয়ালি উপলক্ষে উপহারের ফুলঝুড়ি নিয়ে হাজির হন তিনি।
গুজরাটের সুরাটের এই প্রখ্যাত হিরে ব্যবসায়ী সাভজি ডোলাকিয়া। আজ সুরাটে তার কোম্পানির এক অনুষ্ঠানে কোম্পানির বিশ্বস্ত ৬০০ কর্মচারীর হাতে তুলে দেবেন নতুন” মারুতি সুজুকি অল্টো” এবং “মারুতি সুজুকি সেলেরিও” গাড়ির এই বিশেষ উপহার। বর্তমানে এই নতুন গাড়িগুলির প্রত্যেকটির দাম আছে বাজারে যথাক্রমে ৩.৫৬ লক্ষ টাকা এবং ৫.৩৮লক্ষ টাকা ।আর এই উপলক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী “হরেকৃষ্ণ এক্সপোর্ট “কোম্পানির দুইজন শারীরিক বিকলাঙ্গ মহিলা কর্মচারীকে দিল্লীতে “হরেকৃষ্ণ স্কিল ইন্ডিয়া ইন্সেন্টিভ সেরিমনি” নামক অনুষ্ঠানে নতুন মারুতি গাড়ির চাবি উপহার দিয়েছেন আজ দিল্লিতে।
আরও পড়ুন : বছরের সেরা বস, কর্মীদের বোনাস দিলেন মার্সিডিজ
২০১৭ সালের নতুন বর্ষ উপলক্ষে কোম্পানির এক অনুষ্ঠানে বারোশো কর্মচারীকে তিনি তুলে দিয়েছিলেন ডাস্টান কোম্পানির “রেডি গো হ্যাচব্যাক” এর নতুন গাড়ি। এই মহান মানুষটি ২০১৬ সালে তার কোম্পানির কর্মচারীদের দিওয়ালি উপহার হিসাবে ৫১ কোটি টাকার আর্থিক মূল্যের পুরস্কার দিয়েছিলেন। ২০১৪ সালেও তিনি তার সংস্থার কর্মচারীদের দিওয়ালি উপহার হিসেবে প্রত্যেককে একটি করে ৭০০ টি ফ্ল্যাট, ৫২৫টি হীরে দিয়েছিলেন। ২০১৫ সালে ১২৬৮ জন কর্মীকে এবং ২০১৬ সালে ১২৬০ জন কর্মীকে গাড়ি উপহার করেছিলেন। তাই ঢোলাকিয়াজি একজন ব্যতিক্রমী মালিক তা আলাদা করে বলার প্রয়োজন রাখেনা। ঢোলাকিয়াজি মাত্র ১২.৫০ টাকা পকেটে নিয়ে তিনি সুরাটে এসেছিলেন সরকারি বাসে চেপে কাজের সন্ধানে ১৯৭৭সালে। আর আজ তার হরেকৃষ্ণ এক্সপোর্ট নামের সংস্থা বছরে ৬০০০ কোটি টাকার মতো ব্যবসা করে। আর এই প্রতিষ্ঠানে কর্মচারীর সংখ্যা ৫,৫০০ এর মতো।