সারা বিশ্বে এখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৬,৮৩৯,৪৮৭ জন। করোনার প্রতিষেধক আবিস্কারের উদ্দ্যেশ্যে প্রথম থেকেই করোনা নিয়ে একাধিক সমীক্ষা চলছে। এবার এক সমীক্ষায় উঠে এলো কোন রক্তের গ্রুপের করোনা আক্রান্ত রোগীদের বেশি শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। এই সমীক্ষা করা হয় মূলত ইতালি ও স্পেনের করোনা আক্রান্তদের উপর। গবেষকেরা প্রথমে ইতালি ও স্পেনের হটস্পট থেকে প্রায় ১৫০০ মানুষকে বেছে নেন। সমীক্ষা শেষে প্রকাশ করেন সিদ্ধান্ত।
গবেষকদের মতে করোনা বিভিন্ন রূপে ধরা দিচ্ছে। ফলে করোনার চরিত্র জানতে গেলে প্রতিটি গবেষনায় গূরুত্বপূর্ন। গবেষনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরলে বিজ্ঞানীরা সহজেই এর প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে সফল হতে পারে।
The ABO blood group locus and a chromosome 3 gene cluster associate with SARS-CoV-2 respiratory failure in an Italian-Spanish genome-wide association analysis https://t.co/uk8zU4k2Zo #medRxiv
— medRxiv (@medrxivpreprint) June 2, 2020
কোন ব্লাড গ্রুপের করোনা আক্রান্তদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা কম?
মেডেরেক্স- প্রিপিন্ট সার্ভারে প্রকাশিত, সমীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী আলাদা আলাদা ব্লাড গ্রুপের ১৫০০ মানুষের উপর সমীক্ষা করে দেখা যায়, ‘O’ ব্লাড গ্রুপের মানুষদের মধ্যে শ্বাসকষ্টের সমস্যা তুলনামূলক কম। এছাড়া অন্যান্য ব্লাড গ্রুপের ক্ষেত্রে জটিলতা খানিকটা বেশি।
কোন ব্লাড গ্রুপের করোনা আক্রান্তদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা বেশি?
সমীক্ষার ফলাফলে দেখা যায় যাদের ব্লাড গ্রুপ ‘A’ তাঁদের মধ্যে শ্বাসকষ্টের সমস্যা অনেকটাই বেশি। বাকি ব্লাড গ্রুপ গুলির শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকলেও তা ‘A’ ব্লাড গ্রুপের থেকে তুলনামূলক কম।
কোন ব্লাড গ্রুপ বেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছে?
চিনের উহান ও শেনজেনের ২ হাজার রোগীর ব্লাড স্যাম্পেল সংগ্রহ করে একটি সমীক্ষা করা হয়। সেই সমীক্ষায় পাওয়া যায় ‘A’ ব্লাড গ্রুপের ব্যক্তিরা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন সবথেকে বেশি। ও ‘O’ ব্লাড গ্রুপের মানুষদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত কম। যেখানে ‘A’ ব্লাড গ্রুপের ৪১ শতাংশ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছে সেখানে ‘O’ ব্লাড গ্রুপের ২৫ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত।
কোন ব্লাড গ্রুপের করোনা আক্রান্তদের মৃত্যুর হার সবথেকে বেশি?
সমীক্ষার ফলাফলে দেখা গিয়েছে মৃত্যুর হারে ‘A’ ব্লাড গ্রুপের মানুষ বেশি। ও ‘O’ ব্লাড গ্রুপের মানুষ কম। চিনের গবেষনা বলছে যেখানে ‘A’ ব্লাড গ্রুপের মানুষদের মৃত্যুর হার ৩৮ শতাংশ, সেখানে ‘O’ ব্লাড গ্রুপের মানুষের মৃত্যুর হার ২৬ শতাংশ।