‘কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়!’ সত্যি রঙ্গ বটে! রাজস্থানের বারমেরি জেলার দিরসার গ্রামের পুরুষদের ২ নারীকে বিবাহ করতে হয়। এটাই এই গ্রামের রীতি। ইচ্ছে থাক আর না থাক বিয়ে ২ বার আলাদা ২ নারীকেই করতে হবে। কারণ দ্বিতীয় বিয়ে না করলে সন্তানের বাবা হতে পারবেন না পুরুষেরা।
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, গ্রামের অনেকে প্রথম বিয়ে করার পর ৫৫ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করেছেন। কিন্তু সন্তান হয়নি তাদের। এর পর দ্বিতীয় বিয়ে করতেই না-কি পঞ্চান্ন বছর পর দিরসার গ্রামের গর্ভবতী হয়েছিলেন দুই স্ত্রী। তাই এই গ্রামের সব পুরুষেরই রয়েছে দু’টি করে স্ত্রী। কালক্রমে সেই ঘটনাই রীতি হিসাবে অনুসরণ করা শুরু হয়েছে। আর এভাবেই বারমেঢ়ের এই গ্রামে প্রতিটি পুরুষ নিয়ম মেনে দু’বার করে বিয়ে করে চলেছেন।
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এই গ্রামে মেরেকেটে ৬০০ মানুষের বাস। মুসলমান অধ্যুসিত গ্রামের বাসিন্দাদের সবমিলিয়ে মোট ৭০ পরিবার রয়েছে। প্রত্যেকেরই ২ জন করে স্ত্রী। প্রথম বিয়ের পর সন্তানের মুখ দেখতে পান না। বলা ভাল, প্রথম বিয়ের পর দিরসার গ্রামের পুরুষেরা দ্বিতীয় বিয়ের জন্য উঠে পড়ে লাগেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর প্রথম সন্তানের মুখদর্শন হয়। স্বাভাবিকভাবেই এখানকার অভিভাবকদের গড় বয়স বেশী।
এমন ব্যবস্থার জন্য দিরসার পুরুষেরাও খুশি। প্রথম স্ত্রী কখনও একাধিক বিয়ে নিয়ে অশান্তি পাকায় না! বরং সতীন নিয়ে সুখে ঘর-সংসার করেন! সতীনের সন্তান নিজের সন্তানের মতোই মানুষ করেন।
রীতি রাজস্থানের দিরসার গ্রামে হয়ে উঠেছে প্রথা। তাই এখানকার পুরুষদের ২ টো বিয়ে। তারপর মেলে সন্তানের মুখ দেখার সুখ।