স্টার জলসা (Star Jalsha) এবং জি বাংলার রেষারেষির কথা অজানা কিছু নয়। ২ চ্যানেলই টিআরপি তালিকাতে একে অপরকে টেক্কা দিতে নিত্য নতুন ধারাবাহিক এবং রিয়েলিটি শো আনছে। টিআরপি দিতে ব্যর্থ হলেই একের পর এক বাদ পড়ছে পুরনো ধারাবাহিকগুলো। তারই মাঝে আবার স্টার জলসার অন্দরমহলে শুরু হয়েছে ঝামেলা। কোনও এক অজ্ঞাত কারণে ব্লুজ প্রোডাকশনের সঙ্গে চ্যানেলের সংঘাতে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে খুকুমণি হোম ডেলিভারি।
এবার অনুরাগের ছোঁয়া (Anurager Chhowa) নিয়েও দর্শকমহলে ছড়ালো জল্পনা। এই ধারাবাহিকটি মাত্র কিছুদিন আগেই স্টার জলসাতে শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত বেশ ভালই টিআরপি দিচ্ছে ধারাবাহিকটি। টিআরপি তালিকাতে সেরা পাঁচের তালিকায় থাকে অনুরাগের ছোঁয়া। দীপা এবং সূর্যর প্রেমের রসায়ন দর্শকদের নজর কেড়েছে। আচমকাই সিরিয়াল বন্ধের খবর মিলেছে। এতে দারুণ অবাক হয়েছেন দর্শকরা।
অনুরাগের ছোঁয়া ধারাবাহিকটি অল্প সময়ের মধ্যেই দর্শকদের নজর কেড়েছে। ধারাবাহিকে প্রত্যেক চরিত্র এবং গল্পের বুনট বুনন প্রধান আকর্ষণ। ধারাবাহিকের নায়ক সূর্যের মা লাবণ্য রূপের পুজারী। তার কাছে গুণের কদর নেই। কালো মেয়ে দীপাকে তিনি দু’চোখে সহ্য করতে পারেন না। ছোট ছেলের জন্য তার পছন্দ ছিল দীপার সুন্দরী বোন উর্মিকে। এদিকে তার বড় ছেলে সূর্য দীপাকে বিয়ে করে আনে।
ছেলের কান্ড মনে মনে বেজায় আঘাত পেয়েছেন লাবণ্য। সূর্যের জীবন থেকে দীপাকে দূরে সরাতে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে চলেছেন তিনি। মায়ের চরম অসন্তোষে পরেও সূর্য দীপার হাত শক্ত করে ধরে রেখেছে। অনুরাগের ছোঁয়া ধারাবাহিকটির জনপ্রিয়তা দিনে দিনে বাড়ছে। ধারাবাহিকটি বর্তমানে সপ্তাহে ৫ দিন সম্প্রচারিত হয়। কিন্তু দর্শকরা এই ধারাবাহিক দেখতে এতটাই পছন্দ করেন যে তারা সপ্তাহে ৭ দিনই সম্প্রচারের দাবি তুলছেন।
এদিকে এই সিরিয়াল বন্ধ নিয়ে গুঞ্জন ছড়ালো সোশ্যাল মিডিয়াতে। আগামী ৩০শে এপ্রিলই নাকি শেষ হয়ে যাচ্ছে অনুরাগের ছোঁয়া! অর্থাৎ আগামী সপ্তাহের শনিবার ধারাবাহিকের শেষ সম্প্রচার। এই খবর মিলেছে উইকিপিডিয়া সূত্রে। উইকিপিডিয়াতে স্টার জলসার সিরিয়ালগুলির তালিকাতে অনুরাগের ছোঁয়া সম্প্রচারের প্রথম দিন হিসেবে ৭ই ফেব্রুয়ারি এবং শেষের দিন হিসেবে ৩০শে এপ্রিল উল্লেখ করা রয়েছে।
কেন উইকিপিডিয়াতে এমনটা দেখাচ্ছে তা বুঝে উঠতে পারছেন না দর্শকরা। স্বভাবতই তাদের মনে ভর করেছে আশঙ্কা। যদিও নেটিজেনদের একাংশ এটিকে টেকনিক্যাল গাফিলতি হিসেবেই দেখছেন। কারণ ধারাবাহিকটি এখন যে পর্যায়ে রয়েছে তাতে এখনই ধারাবাহিক বন্ধের কোনও সম্ভাবনা নেই।