মানবিকতাবোধ থাকে যার, তিনিই মানুষ। তবে আধুনিক প্রজন্মে নাকি মানবিকতার অভাব দেখা দিয়েছে! এমনই অভিযোগ করে থাকেন প্রবীণরা। তেমনটা কিন্তু আদেও নয়। ইঁদুর দৌড়ের এই যুগে মানুষ যেখানে প্রতিনিয়ত সফলতার পেছনে ছুটে চলেছেন, নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন, সেখানেও কিন্তু এমন মানুষের দেখা মেলে যারা নিজেদের জন্য নয়, মানুষের জন্যই বাঁচেন।
বর্তমানে এক চরম সংকটময় মুহূর্তের মধ্য দিয়ে এগোচ্ছে আমাদের দেশ। করোনা জর্জরিত ভারতবর্ষে প্রতিনিয়ত বেঁচে থাকার জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন সাধারন মানুষ। এই মুহূর্তে কিন্তু আর্ত-পীড়িতদের সাহায্যের জন্য অনেকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। বলিউডের সাহায্যকারীদের সংখ্যাটা কিছু কম নয়। এবার টলিউডেও এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন এক টেলি তারকা।
স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক “গঙ্গারাম”। সেই ধারাবাহিকের প্রধান চরিত্রাভিনেত্রী “টায়রা” অর্থাৎ সোহিনী গুহ রায়কে টেলিভিশনের পর্দায় যতই দুর্দান্ত, উদ্ধত, অমানবিক বলে মনে হোক না কেন, বাস্তবের মাটিতে তিনি যেন মানবতার এক অন্যতম প্রতিমূর্তি। সাম্প্রতিককালের তার তেমনই একটি দিক সোশ্যাল মিডিয়ায় ধরা পড়েছে।
বিয়ের সিজন চলছে। এই কঠিন মুহূর্তে একে অপরের কাছের মানুষটিকে যেন আরও বেশি করে পাশে চাইছেন মানুষ। টেলি অভিনেত্রী সোহিনী গুহ রায় সম্প্রতি তার দীর্ঘদিনের বন্ধু কল্লোল চৌধুরীর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন। তাদের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক পরিণতি পেয়েছে। তবে বিয়ের এই আনন্দ তারা একেবারেই অন্যরকম ভাবে উপভোগ করলেন।
বিয়ের অনুষ্ঠান মানেই আত্মীয়-স্বজনের উপস্থিতি, প্রচুর খাওয়া-দাওয়া, হই-হুল্লোড়। তবে সোহিনী এবং কল্লোলের বিয়েতে কিন্তু অংশগ্রহণ করেছিলেন গুসকরা স্টেশনে থাকা সমস্ত গরীব বাসিন্দারা! অভিনেত্রী নিজে হাতে তাদের খাবার পরিবেশন করেছেন। এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সহায়তায় সোহিনী এবং কল্লোল গুসকরা স্টেশনের সব গরীব মানুষকে পেটভরে খাইয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এই দৃশ্য।
দৃশ্যটি এক মুহূর্তের মধ্যেই নেটিজেনদের মন কেড়ে নিয়েছে। এই কঠিন সময়ে এভাবেও পাশে থাকা যায়! সমাজকে এমনই বার্তা দিতে চেয়েছেন সোহিনী। সোশ্যাল মিডিয়া তার এমন উদ্যোগকে স্যালুট জানাচ্ছে।