
স্টার জলসার অন্যতম জনপ্রিয় একটি সিরিয়াল হলো ‘খড়কুটো’। সৌজন্য আর গুনগুনের প্রেম কাহিনী ছাড়াও যৌথ পরিবারের গল্প বলে চলেছে এই ধারাবাহিক। বর্তমানে যখন স্বার্থের কারণে পরিবার ক্রমশ ছোট হয়ে আসছে তখন মুখোপাধ্যায় পরিবার, পটকাদের গ্রুপ, সৌজন্য ও গুনগুনের রসায়ন সব মিলিয়ে খড়কুটো ধারাবাহিক মানুষের একাকীত্বকে দূর করে যৌথ পরিবারের সেই আনন্দকেই ফিরিয়ে দিয়েছে।
বিভিন্ন ধারাবাহিকে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে এত দ্বন্দ্ব,এত জটিলতা দেখতে দেখতে মানুষ যখন বিরক্ত হয়ে উঠেছিল তখন লীনা গাঙ্গুলীর ‘খড়কুটো’ বিষয়ের দিক থেকে অভিনবত্ব প্রকাশ করেছে আর এই কারণেই সব সময টি আর পি রেটিং এ এগিয়ে থেকেছে এই ধারাবাহিক। কিন্তু সম্প্রতি এই ধারাবাহিক নিয়ে দর্শকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকে মিষ্টির সন্তান হবে পরিবারে একটি নতুন সদস্য আসবে বলে সবাই যখন আনন্দে উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছেন তখনই গুনগুনের শ্বশুরমশাই ভজনকে নিয়ে একটা অদ্ভুত ট্র্যাক আনা হলো ধারাবাহিকে। সব সময় হাসি-মজা-ঠাট্টা হৈ-হুল্লোড়ে মেতে থাকা মুখার্জি পরিবারে একটি বিষয় নিয়ে সন্দেহ,অবিশ্বাসের কালো মেঘ ঘনিয়ে এলো।
তারপর বিগত চার দিন ধরে এই একই গল্প চলছে যা দেখতে দেখতে তিতিবিরক্ত হয়ে গিয়েছেন দর্শকেরা। আর সেই বিরক্তির প্রকাশই ঘটে চলেছে সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন পোষ্টে। ঠিক কী দেখানো হয়েছে জনপ্রিয় ধারাবাহিক খড়কুটোতে? কী নিয়েই বা দর্শকদের মধ্যে এত ক্ষোভ জমেছে?
ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে যে পরিবারের কাউকে কিছু না জানিয়ে একবছর আগে চড়া সুদে সৌজন্যের বাবা ভজনবাবু ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ধার করেছেন আর তারপর থেকে তিনি আর সেই টাকা শোধ দেননি। এরপর সেই অফিসের লোক মুখার্জি পরিবারে হানা দিলে সকলেই ভজন বাবুকে জিজ্ঞেস করে যে কী কারণে সে এতগুলো টাকা ধার করেছিলো, কিন্তু ভজনবাবু সেই কারণ কিছুতেই বলতে চাননা।
আরও পড়ুন : পাঁচ বছরের সম্পর্ক ভেঙে স্বামীকে ডিভোর্স, নতুন প্রেমে মজলেন ‘মোহর’-এর সোনামণি
এরপর পরিবারের জ্যাঠাই,পটকা থেকে শুরু করে ভজনবাবুর স্ত্রী,মেয়ে পর্যন্ত ভেবে নেয় যে মেয়েঘটিত কোনো বিষয়েই সে টাকা ধার করেছে ও তার সাথে খারাপ ব্যবহার করতে থাকে। অন্যদিকে ভজন বাবুর বৌমা গুনগুন, জামাই রূপাঞ্জন,অপর বৌমা মিষ্টি,বোন পুটু ও জামাই সুকল্যান ভজনকে বিশ্বাস করেছেন।গুণগুন জোর গলায় বলেছে যে তার বাবা কোনো অন্যায় করতে পারেনা।এমনকি চিনি খারাপ কথা বললে তার উত্তর ও দিয়েছে গুনগুন।
আরও পড়ুন : স্বামীর থেকে ১৫ বছরের বড় স্ত্রী, বয়সকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে চুটিযে সংসার করছে ডিঙ্কা ও পুটু পিসি
গত ২৫ এপ্রিল থেকে ধারাবাহিকে এই একই বিষয়ে দেখানো হচ্ছে, এখন অবধি রহস্য উদঘাটন করে জানানো হয়নি কেন ভজনবাবু টাকা ধার করেছিলেন। সম্প্রতি আবার দেখানো হচ্ছে যে ভজনবাবু জ্যাঠাইএর উদ্দেশ্যে চিঠি লিখে নিরুদ্দেশ হয়েছেন আর এতেই চটেছেন নেটাগরিকরা। ফেসবুক পেজে কেউ কেউ স্পষ্ট লিখেছেন,“উফ একই জিনিস ধরে চারদিন ধরে ঘেনিয়ে যাচ্ছে।এই ফার্স্ট টাইম আমার বোরিং লাগলো।”
আরও পড়ুন : রাণী রাসমণীতে মা ভবতারিণীর চরিত্রে কে অভিনয় করছে, রইলো অভিনেত্রীর আসল পরিচয়
কেউ আবার বলেছেন, “প্লিজ এবার ক্ল্যাইমাক্স আনুন।ভজনবাবুর মতো হাসিখুশি মানুষের এমন পরিণতি মানতে পারছিনা।” নেটিজেনদের মধ্যে কেউ আবার বলেছেন, “আমার মনে হয় জ্যাঠাই এর মেয়ে মুনিয়ার জন্যই টাকাটা খরচ করেছেন ভজনবাবু” কেউ আবার বলেছেন, “ ভজন বাবুর চরিত্রে যিনি বাস্তবে অভিনয় করছেন সেই চন্দন সেন কিছুদিন আগেই ক্যান্সার রোগ থেকে সুস্থ হয়ে ফিরেছেন। হতে পারে করোনার এই পরিস্থিতিতে তাকে দিয়ে শুটিং করানোটা তার জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে বলেই একটা গল্পের মধ্য দিয়ে সরিয়ে নেওয়া হলো।” যে কারণেই হোক না কেন দর্শক যে এবার বিষয়টার ক্লাইম্যাক্স চাইছেন তা স্পষ্ট।