সমুদ্র ডুবে মরে গেল লালন, উদ্ধার হল লাশ, খড়কুটোর পর বন্ধের মুখে ধূলোকণা

বেশ কয়েক সপ্তাহ বাদে ধূলোকণা (Dhulokona) ধারাবাহিকে এবার এল বড় মোড়। স্টার জলসার (Star Jalsha) এই ধারাবাহিক লালন-ফুলঝুরির বিয়ে দেখিয়ে হয়েছিল বেঙ্গল টপার। আর এবার তো লীনা গাঙ্গুলীর লেখনির আঁচড় মেরেই ফেলল লালনকে! সমুদ্রের ধারে পরিবার নিয়ে হানিমুন পর্ব কাটাতে গিয়ে সমুদ্রের জলে ডুবে নিখোঁজ হয়েছে লালন।

দর্শকরা আশা করেছিলেন অন্তত লালনকে কিছুদিন নিখোঁজ দেখিয়ে তাকে আবার কোনওভাবে ফিরিয়ে আনা হবে। কিন্তু এবার তো সেই আশাটুকুও রইল না। ধারাবাহিকের নতুন প্রোমো দেখে কার্যত চোখ কপালে দর্শকদের। পুলিশ এসে ফুলঝুরিকে বলে যে সমুদ্র থেকে একটি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে যার পরনে রয়েছে লালনেরই পোশাক। এই দেহ সনাক্ত করার জন্যই পরিবারের কাউকে ডাকতে এসেছে পুলিশ।

এই খবর শুনে রীতিমত ভেঙে পড়ে সকলে। লালন-ফুলঝুরির সঙ্গে সমুদ্র ঘুরতে এসেছিল গোটা পরিবার। তাদের সঙ্গে ছিল লালনের দিদি, চড়ুই, চড়ুইয়ের মা চান্দ্রেয়ী, তান, কমলিনী, মিনি, মিনির মাস্টারমশাই। সকলের চোখের সামনে দিয়েই লালনকে জলে ডুবিয়ে মেরে ফেলে এক দুষ্কৃতী। চড়ুইয়ের মা চান্দ্রেয়ীর ষড়যন্ত্রেই ঘটে যায় এই অঘটন।

লালনকে হারিয়ে রীতিমত ভেঙে পড়ে ফুলঝুরি। কেঁদে কেঁদে আকুল হয়ে পড়েছে সে। তবুও সে বিশ্বাস করতে পারে না লালন মারা গিয়েছে। পুলিশ যখন তাকে দেহ উদ্ধারের কথা জানায় তখনও সে পুলিশের কথায় বিশ্বাস করে না। কেঁদে আকুল হয়ে পড়ে লালনের দিদিও।

এদিকে ধারাবাহিকের নতুন প্রোমো দেখে বেশ ভয়ই পেয়ে গিয়েছেন দর্শকরা। এর আগে লীনা গাঙ্গুলী রোহিত সেনকে মেরে ‘শ্রীময়ী’ শেষ করেছেন, গুনগুনকে মেরে শেষ করেছেন ‘খড়কুটো’। ‘ধূলোকণা’ ধারাবাহিকেও মৃত্যু হল লালনের। এটাই কি তাহলে ধারাবাহিক শেষ হওয়ার ইঙ্গিত? যদিও তা মানতে চাইছেন না ভক্তরা।

দর্শকদের দাবি, ‘ধূলোকণা’ টিআরপিতে বেশ ভালই ফলাফল করছে। তাই এখনই ধারাবাহিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার মত পরিস্থিতি আসেনি। এদিকে আবার স্টার জলসার তরফ থেকে নতুন ধারাবাহিক ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’ এর প্রথম ঝলক এসেছে প্রকাশ্যে। ‘ধূলোকণা’র জায়গা ছিনিয়ে নেবে না তো এই নতুন ধারাবাহিক? আশঙ্কা ভর করেছে ভক্তদের একাংশের মনে।