গত বছরেই শেষ হয়েছে বাংলা টেলিভিশনের (Bengali Telivision) অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক শ্রীময়ী (Sreemoyee)। ‘গোয়েন্দা গিন্নি’র পর সাধারণ এক ঘরোয়া গৃহবধূ হিসেবে ছোটপর্দায় ধরা দিয়ে সকলের খুব কাছের হয়ে উঠেছিলেন ইন্দ্রানী হালদার (Indrani Halder)। আপামর বাংলার মহিলারা শ্রীময়ী চরিত্রটির সঙ্গে কমবেশি সংযোগ স্থাপন করতে পেরেছেন। বর্তমানে শ্রীময়ীর হিন্দি ‘অনুপমা’ যেমন বাংলাসহ সারা দেশের দর্শকের কাছে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ‘শ্রীময়ী’ হিসেবে ইন্দ্রানী হালদারকে বেশ ভালোভাবেই গ্রহণ করেছেন দর্শকরা।
তবে ধারাবাহিক শেষ হয়ে যাবার পর এখন নিজেকে আপাদমস্তক বদলে ফেলেছেন ইন্দ্রানী। আপাতত তার নজরে রয়েছে সিনেমার পর্দা। বেশ কিছু কাজ রয়েছে তার হাতে। এক শান্তশিষ্ট ঘরোয়া বাঙালি গৃহবধূর সাজে এতদিন দর্শক দেখেছেন ইন্দ্রানীকে। শ্রীময়ীকে যারা শাড়ির সাজে দেখতে অভ্যস্ত তাদের জন্য বড় চমক আনলেন অভিনেত্রী। শাড়ি ছেড়ে মেম সাজলেন ইন্দ্রানী। ছোট ছোট করে ছাঁটা চুল, হলুদ রঙের ওয়েস্টার্ন পোশাক, কানে ঝোলা বড় দুল, সঙ্গে চড়া মেকআপ, হাতে সানগ্লাস, এমন সাজে ইন্দ্রানীকে বড় একটা দেখেননি নেটিজেনরা।
তাই হঠাৎ করে প্রিয় অভিনেত্রীকে এমন বোল্ড সাজে দেখে চোখ কপালে উঠেছে নেটিজেনদের। অনুরাগীরা তার প্রশংসা করছেন। বছর পঞ্চাশের ইন্দ্রানীকে কিশোরী সাজে দেখে অবশ্য অনেকেই মনোক্ষুন্ন হয়েছেন। অভিনেত্রীকে এমন সাজে দেখার জন্য তারা প্রস্তুত ছিলেন না মোটেও। কেউ লিখলেন, ইন্দ্রানীকে একেবারে ‘পদি পিসিমা’র মত দেখাচ্ছে। কারও মতে ‘রামু কাকা’ সেজেছেন ইন্দ্রানী। কেউ লিখলেন, “জঘন্য লাগছে”। কেউ আবার লিখলেন, “এই সাজে একদমই ভালো লাগছেনা। বয়সের সাথে সামঞ্জস্য রেখে সাজাই উচিত। সে যত বড়ই সেলিব্রিটি হোক বা নামিদামি মানুষ হোক না কেন।” জনৈক নেটিজেন মন্তব্য করলেন, “বয়স বাড়লে নিজেকে কমবয়সী দেখানোর একটা ঝোঁক অনেক মহিলার মধ্যেই দেখা যায় বুড়ো বয়সে ভীমরতি যাকে বলে”।
View this post on Instagram
বয়সের অঙ্কটা বাড়লেও মনের দিক থেকে আজও কিশোরী ইন্দ্রানী হালদার। বয়সটা তার কাছে সংখ্যা মাত্র। সদ্য ৫০ বছর পূরণ করেছেন। তবে মনে মনে এখনও নবীন অভিনেত্রী। প্রেমে পড়েন বারবার। যতই আঘাত আসুক না কেন, অভিনেত্রী মনে করেন সকলেরই প্রেম করা উচিত। স্বামী থাকা সত্ত্বেও অভিনেত্রীর এই মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল নেট মাধ্যমে।
View this post on Instagram