হাতে নেই কাজ, চেহারাতে নাকি গিন্নি গিন্নি ভাব, অভিনয় ছেড়ে নতুন পেশা নেওয়ার কথা ভাবছেন শ্রুতি 

‘দেশের মাটি’র (Desher Maati)নোয়া, ‘ত্রিনয়নী’র নয়ন, কেরিয়ারের শুরুতেই স্টার জলসা এবং জি বাংলার মত বাংলার এক নম্বর টেলিভিশন চ্যানেলের নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করে খাতা খুলে ফেলেছেন শ্রুতি দাস (Shruti Das)। এই মুহূর্তে বাংলা টেলিভিশনের প্রথম সারির অভিনেতাদের মধ্যে গণ্য করা যেতে পারে তাকে। কিন্তু তবুও তার হাতে এখন কোনও কাজ নেই। তাই বলে এই নয় যে তিনি কাজের জন্য ইচ্ছুক নন। তাহলে কেন ইন্ডাস্ট্রি থেকে দূরে রয়েছেন শ্রুতি?

‘ত্রিনয়নী’র পর ‘দেশের মাটি’তেই তার হাতে এসেছিল শেষ কাজের সুযোগ। ধারাবাহিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর টানা ৯ মাস তার হাতে কোনও কাজ নেই। আপাতত কলকাতা থেকে দূরে নিজের শহর কাটোয়াতেই ফিরে গিয়েছেন অভিনেত্রী। সেখানেই তিনি কাজের সুযোগের জন্য অপেক্ষা করছেন। তবে ইন্ডাস্ট্রির রকমসকম দেখে হতাশা ভর করেছে তার মনেও।

SHRUTI DAS

সম্প্রতি আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি উগরে দিয়েছেন মনের মধ্যে জমে থাকা ক্ষোভ। তার কথায়,“ কথায় আছে না— আজ যে রাজা, কাল সে ফকির! ২০১৯-এ সাহানাদির (সাহানা দত্ত) হাত ধরে আমার টলিউডে আসা। তখন আমাকে নিয়ে সবার কত মাতামাতি! সেই সময়ে ‘বাংলা সেরা’ ছিল আমাদের ধারাবাহিক। তার তিন বছর ঘুরতে না ঘুরতেই দেখতে পাচ্ছি বাস্তবটা।”

এখন চেনা মানুষদের কাছে মেসেজ করলে তার রিপ্লাইটা পর্যন্ত ঠিকমতো আসে না। পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দারের সঙ্গে সম্পর্কে থাকার জন্য অনেকেই ভাবছেন তিনি তার প্রেমিকের থেকেই কাজ পাবেন। তার আবার কাজের কী অভাব? কিন্তু শ্রুতি জানালেন বাস্তবটা আসলে কী। ধারাবাহিক এবং সিরিজের জন্য অডিশন দেওয়ার পরেও তাকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না বলেই দাবি করেছেন তিনি।

shruti das swarnendu samaddar

তিনি এও বলেছেন স্বর্ণেন্দুর কাছে কাজের সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার জন্য অনেকেই তাকে বলেন। কিন্তু তিনি নিজে কখনও নিজের কাজের কথা বলতে পারেন না। বর্তমানে বাংলা ধারাবাহিকগুলোতে ১৪-১৫ বছর বয়সিদের নায়িকা হিসেবে নেওয়া হচ্ছে। আর শ্রুতির প্রসঙ্গ উঠলে বলা হচ্ছে তার চেহারায় নাকি ‘গিন্নি গিন্নি’ ভাব রয়েছে! তবে লড়াইয়ের ময়দান এত সহজে ছাড়বেন না শ্রুতি। তিনি ঠিক চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।

তাহলে শেষমেষ নিজের কেরিয়ার নিয়ে কী ভাবছেন শ্রুতি? অভিনেত্রীর সাফ কথা, “সুজয়দার (সুজয়প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়) একটা কথা আমার সব সময় মনে থাকবে, “ইন্ডাস্ট্রি কাজ না দিলে গাছতলায় ছাত্র পড়িয়ে পেট চালিয়ে নেব।” আমারও তেমনটাই মনে হয়। সবাই ভুলে গেলে আমি নাচ বা অভিনয় যতটুকু পারি, তা শিখিয়ে পেট চালিয়ে নেব ঠিক।”