১৪ বছরের শ্রেয়ার গলা ছিল আরও মিষ্টি, পুরনো গানের ভিডিওতে উপচে পড়ছে প্রশংসা

শ্রেয়া ঘোষাল (Shreya Ghoshal) বাংলার গর্ব। বাংলা তথা গোটা দেশ তার গানের গলার গুণগ্রাহী। তাকে বলা হয় লতা মঙ্গেশকরের যোগ্য উত্তরসূরী। সংগীত জগতে ১১ টি ভাষায় ২৪০০ টিরও বেশি গান গেয়েছেন শ্রেয়া। সারাদেশ জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছেন তার ভক্তরা। এহেন শ্রেয়ার গানের জগতে অভিষেক হয়েছিল খুব ছোট বয়সে।

মাত্র ১৪ বছর বয়সে সারেগামাপার একটি সিজনের বিজেতা হয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকে তাকে আর ঘুরে তাকাতে হয়নি। আজ এত বছর পর সারেগামাপার মঞ্চে তার একটি পারফরমেন্সের ভিডিও আবার ভাইরাল হয়েছে। শ্রোতারা মুগ্ধ হয়ে শুনছেন ছোট্ট শেয়ার গান।

এই ভিডিওতে শ্রেয়াকে একটি রাজস্থানী ফোক গান গেয়ে শোনাতে দেখা যাচ্ছে। বাংলার মেয়ে রাজস্থানী ভাষার গানটিকে রপ্ত করে ফেলেছিলেন খুব ভালোভাবেই। তার গান শুনে মঞ্চে উপস্থিত বিচারকরা হাততালিতে ফেটে পড়লেন। সোনু নিগম তো তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ!

শ্রেয়ার গান শোনার পর তার পাশে এসে দাঁড়িয়ে সোনু তাকে প্রশ্ন করেন, বাঙালি হয়ে এত সুন্দর রাজস্থানী ভাষায় গান গাইতে তিনি পারলেন কী ভাবে? উত্তরে মন জিতে নিলেন শ্রেয়া। তিনি বলেন তিনি দেশের সব ভাষাকেই ভালোবাসেন। তাই তিনি যেকোনও ভাষাতে এত সুন্দর গান গাইতে পারেন।

তাছাড়া শ্রেয়া বলেছেন তিনি বাঙালি হলেও বাবার কাজের সূত্রে অনেকদিন রাজস্থানের রাওয়াতভাতারে থাকতে হয়েছিল। সেখানেই বড় হয়ে উঠেছিলেন তিনি। তাই রাজস্থানী ভাষাতে ছোট থেকেই তার দক্ষতা রয়েছে।

উল্লেখ্য সারেগামাপার সেমিফাইনালের এই এপিসোডে উপস্থিত ছিলেন ঊষা খান্না, সাবির কুমারদের মত বড় বড় সংগীত শিল্পীরা। তাদের মন জয় করে নিয়েছিলেন ছোট্ট শ্রেয়া। তার গান শুনে মুগ্ধ বিচারকরা তাকেই সেরার সেরা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।

এরপরেও শ্রেয়া তার কেরিয়ারে বিভিন্ন ভাষাতে গান গেয়েছেন। শুধুমাত্র হিন্দিতেই ১১০০ র বেশি গান গেয়েছেন তিনি। মারাঠি গান Ganraj Rangi Nachato ছিল তার প্রথম প্লেব্যাক। এরপর ২০০২ সালে ‘দেবদাস’ ছবিতে পারোর কণ্ঠে পাঁচটি সুপার হিট গান গাওয়ার পর তাকে আর ঘুরে তাকাতে হয়নি।