কন্যাদান, সিঁদুরদানের প্রথা ভেঙে বিয়ে করলেন এক দম্পতি, নবদম্পতিকে ধুয়ে দিল নেটিজেনরা

যুগ বদলেছে, বদলাচ্ছে সমাজ। সমাজের প্রচলিত রীতিনীতি অন্ধের মতো মানতে চান না এযুগের আধুনিক মনস্করা। তাই তো তারা প্রশ্ন তোলেন। সদুত্তর না পেলে আদি অনন্তকাল ধরে চলে আসা চিরাচরিত প্রথার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। হিন্দু বিবাহ রীতিনীতির একাধিক আচার অনুষ্ঠান নিয়ে প্রশ্ন এর আগেও উঠেছে। তবে তার জবাব খুঁজতে গিয়েই কার্যত নেট মাধ্যমে চরম ট্রোলড হতে হলো নবদম্পতিকে।

সদ্য সমাজ মাধ্যমে বিয়ের ছবির মাধ্যমে নারী-পুরুষের সমানাধিকার এবং সাম্যের বার্তা দিতে চেয়েছিলেন শালিনী সেন নামের সদ্য বিবাহিতা এক তরুণী। সনাতন প্রথা অনুযায়ী চলে আসা হিন্দু বিবাহ রীতিনীতির ছক ভেঙে বিয়ের আচার-অনুষ্ঠানের একাধিক ক্ষেত্রে বদল এনেছেন তারা। যার মধ্যে সবথেকে বড় বদল মহিলা পুরোহিতদের নিয়ে বিয়ের আয়োজন। তবে চমকের এখানেই শেষ ছিল না। শুভদৃষ্টির আগে নববধূকে পিঁড়িতে করে নিয়ে আসা থেকে কন্যা দান, সিঁদুর দান, প্রথা ভেঙে সব ছক পাল্টে ফেললেন নবদম্পতি। তাই তো কন্যা অন্যদের কাঁধে ভর দিয়ে নয়, নিজের পায়ে হেঁটে পৌঁছালেন বিবাহ মন্ডপে। কন্যার সম্মানের প্রশ্ন তুলে উঠে গেল কন্যাদান। এমনকি সিঁদুর দানের সময় বরবধূ উভয়ই একে অপরকে সিঁদুর পরালেন।

এমন ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হতে সময় নেয়নি। নেটিজেনরা অবশ্য এর মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব খুঁজে পাওয়ার তুলনায় খুঁত ধরতেই ব্যস্ত। সমাজবদলের বার্তা দিতে এসে নবদম্পতিকে চরম ট্রোলড হতে হলো নেটপাড়ায়। নেটিজেনদের দাবি, যদি প্রথা ভাঙতেই হয় তাহলে সামাজিক অনুষ্ঠান করে নয়, বরং রেজিস্ট্রি করেও বিয়ে করা যেত।

নেটিজেনদের মধ্যে কেউ লিখলেন, “সনাতন ধর্মের প্রতি যখন এতই অনীহা, তো স্রেফ registry বা live-in করলেই তো পারতো! এই ভাবে অপমান করার অধিকার কে দিয়েছে এদের?? বলাই বাহুল্য যে এই জন্যেই এরা আজ 0 গিয়ে ঠেকেছে, আর সারা দেশে বাঙালির নাম ডুবিয়েছে, আস্ত কুলাঙ্গার”! কারও মতে, সবটাই “ভন্ডামি”! স্রেফ নাম পাওয়ার চেষ্টা!

প্রসঙ্গত নববধূ শালিনি সেন আসলে অভিনেত্রী কৃত্তিকা সেনের বোন। কৃত্তিকা ঋতাভরী চক্রবর্তী (Ritabhari Chakraborty) অভিনীত ‘ব্রহ্মা জানেন গোপন কম্মোটি’ (Brahma Janen Gopon Kommoti) ছবিতে অভিনয় করেছিলেন যে ছবির প্রধান প্রেক্ষাপট ছিল এক মহিলা পুরোহিতের জীবনকে কেন্দ্র করে, যিনি সনাতন ধর্মের বিবাহ রীতির প্রতি প্রশ্ন তুলে বৈদিক বিবাহমতেই বর এবং বধুর সমানাধিকার মেনে বিবাহ দেন।