দরকার নেই পেট্রোল, এবার বিয়ারে চলবে গাড়ি! জেনে নিন কীভাবে?

লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পেট্রোলের দাম, মাথায় হাত মধ্যবিত্তের। কিন্তু এবার এই সমস্যার সমাধান করলেন ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা। গাড়ি চাপার আগেই মনে চেপে বসে হাজারটা চিন্তা! তবে এবার চিন্তা শিকেয় তুলুন! গাড়িতে আর পেট্রোল ভরতে হবে না, অথচ গাড়ি তড়তড়িয়ে চলবে! বিয়ার থেকে পেট্রোল তৈরি করতে অভিনব একটি প্রযুক্তির সূচনা করলেন তাঁরা।

প্রশ্ন হল, কীভাবে ? বিয়ারে! শুনতে গল্পকথা মনে হলেও এক্কেবারেই সত্যি! ব্রিটেনের একদল গবেষক গাড়ির জ্বালানি নিয়ে অনেকদিন ধরেই নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন! তাঁদের দাবি,গাড়িতে পেট্রোল ঢাললে তার থেকে ইথানল তৈরি হয় আর সেই শক্তিতেই গাড়ি চলে। বিয়ার থেকে তৈরি হয় বিটানল, যা ইথানলের বিকল্প হিসেবে কাজ করে।

বিয়ারে যে অ্যালকোহল থাকে তা আসলে ইথানল। সেই ইথানলই বুটানলে রূপান্তরিত করা হবে। পেট্রোলের পরিবর্তে গাড়িতে ব্যবহার করার জন্য। লক্ষণীয়, ইথানল কিন্তু পেট্রোলের জন্য সঠিক প্রতিস্থাপন নয়। কারণ ইথানলের শক্তি সঞ্চয়ের ক্ষমতা অনেকাংশে কম পেট্রোলের তুলনায়। ইথানল সহজেই মিশে যেতে পারে জলের সঙ্গে। যা ইঞ্জিনের জন্য খুবই ক্ষতিকারক।

দীর্ঘদিন ধরে এই বিষয়টির উপর গবেষণা চালাচ্ছেন। এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করতে গিয়েই তারা অত্যাধুনিক একটি প্রযুক্তির অবতারণা করেন। যেটির নাম ক্যাটালিস্ট। এই প্রযুক্তির মাধ্যমেই ইথানল বুটানলে পরিবর্তন করা সম্ভব। যেকোনওরকম কেমিক্যাল রিঅ্যাকশনের স্পিড বাড়াতে সক্ষম এই বুটানল। পেট্রোকেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিতেও বুটানল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে।ক্যাটালিস্ট সায়েন্স এবং টেকনলজিতে এই সম্পূর্ণ রিসার্চ পেপারটির উল্লেখ করা রয়েছে।

আরও পড়ুন : একটি পেট্রোল পাম্প প্রতিদিন কত টাকা রোজগার করে? জানলে চমকে যাবেন

দরকার নেই পেট্রোল, এবার বিয়ারে চলবে গাড়ি! জেনে নিন কীভাবে?

আরও পড়ুন : পেট্রোল পাম্পে এই ৪টি পদ্ধতিতে আপনার সাথে প্রতারণা করা হয়

তবে পেট্রোলের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে গেলে অ্যালকোহল বা বিয়ারে অনুঘটক ব্যবহার করতে হবে। তাহলেই বেরিয়ে আসবে বিটানল। আর সেটিই হবে গাড়ির চালিকা শক্তি। যেখানে পেট্রোল তৈরি হয় সেখান থেকেই পাওয়া যায় অনুঘটক। তার জন্য বাড়তি খরচের প্রয়োজন নেই। একাধিক পেট্রোকেমিকেল কারখানাতেই সহজলভ্য সে সব অনুঘটক।

প্রসঙ্গত, ইথানল কিন্তু পেট্রোলের জন্য সঠিক প্রতিস্থাপন নয়। কারণ ইথানলের শক্তি সঞ্চয়ের ক্ষমতা অনেকাংশে কম পেট্রোলের তুলনায়। ইথানল সহজেই মিশে যেতে পারে জলের সঙ্গে। যা ইঞ্জিনের জন্য খুবই ক্ষতিকারক।