‘টুইটার তাড়ালো কঙ্গনাকে, বাংলা বিজেপিকে’ চোখে জল কঙ্গনার, আনন্দে ডগমগ সায়নী

সম্প্রতি বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এই ফলাফলে সকল রাজনৈতিক সমীকরণ যেন পাল্টে গিয়েছে। বাংলায় যে পরিবর্তন যাত্রার আয়োজন করেছিল বিজেপি, তা কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। বাংলার ২৯৪টি আসনের মধ্যে থেকে ২১৩টি আসনে জয়লাভ করে তৃতীয়বারের জন্য ফের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে বিজেপির সরকার গঠনের স্বপ্ন অধরাই থেকে গিয়েছে।

এতে তৃণমূলের সমর্থকরা বেশ খুশি। তবে বাংলায় তৃণমূল সুপ্রিমোর জয় প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর প্রতি একের পর এক আঘাত হেনে চলেছেন বলিউডের কন্ট্রোভার্সি ক্যুইন কঙ্গনা রানাওয়াত। এমনকি নিজের টুইটার হ্যান্ডেলকে ব্যবহার করে পশ্চিমবঙ্গে দ্রুত রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা প্রসঙ্গেও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তিনি আবেদন জানিয়েছেন! তবে এর ফলাফল কিন্তু কঙ্গনার জন্য বিশেষ সুবিধার হয়নি।

কঙ্গনার এমন বিস্ফোরক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল সাইটে তার বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। এমনকি টুইটার কর্তৃপক্ষও কঙ্গনার উপর রুষ্ট। যে কারণে সম্প্রতি টুইটার থেকে কঙ্গনার ব্যবহৃত অ্যাকাউন্টটিকেই স্থায়ীভাবে ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে। কঙ্গনার পোস্ট দেশে রাজনৈতিক হিংসা ছড়াতে পারে! এই মর্মে একটি কারণ দেখিয়ে টুইটার কর্তৃপক্ষ কঙ্গনার অ্যাকাউন্টটি স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করেছে।

   

টুইটারের এমন সিদ্ধান্তের স্বপক্ষে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করলেন টলিউড অভিনেত্রী তথা তৃণমূল সদস্যা সায়নী ঘোষ। টুইটার কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে বেশ খুশি সায়নী। তিনি তার টুইটার পেজে লিখেছেন, “বাংলা বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। টুইটার কঙ্গনাকে নিষিদ্ধ করলো। এক এক করে সমস্ত ময়লা সাফ হচ্ছে’।

উল্লেখ্য, সায়নী ঘোষ কিন্তু একুশের লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে সৈনিক হিসেবে লড়েছিলেন। বিজেপির তরফের প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পালের বিপক্ষে লড়াই করেও অবশ্য জয়লাভ করতে পারেননি তিনি। তবে তৃণমূলের সার্বিক সাফল্যে বেশ খুশি অভিনেত্রী। তার উপর আবার কঙ্গনার প্রতি টুইটারের এহেন অবস্থানে তার খুশি আরও দ্বিগুন হয়ে গিয়েছে।

তবে বলিউড অভিনেত্রী কিন্তু দমে থাকেননি। একটি সোশ্যাল মাধ্যম তাকে বয়কট করেছে তো কি হয়েছে? বাকি সোশ্যাল মাধ্যমগুলিকে সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগাতে দ্বিধা করেননি তিনি। ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন কঙ্গনা। সেখানে দেখা যাচ্ছে অভিনেত্রী কাঁদতে কাঁদতে বাংলার বর্তমান প্রশাসনিক পরিস্থিতি এবং খুন-জখম-ধর্ষণের মত ঘটনাগুলিকে নিয়ে নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। নেটিজেনদের প্রতি তার প্রশ্ন, “এবার থেকে কি তাহলে দেশদ্রোহীরাই দেশ চালাবে?’

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Kangana Ranaut (@kanganaranaut)