মৃত স্বামীর ছবি নিয়ে ব্যাংকক বেড়াতে গিয়ে কটাক্ষ, নিন্দুকদের ধুয়ে দিলেন অভিষেকের স্ত্রী সংযুক্তা

টলিউড (Tollywood) অভিনেতা অভিষেক চ্যাটার্জীর (Abhishek Chatterjee) মৃত্যুর পর দেখতে দেখতে কেটে গেল ২টি মাস। সোশ্যাল মিডিয়াতে তাকে নিয়ে যত জল্পনা, আলোচনার অবসান হয়েছে এতদিনে। ভক্তদের কাছে অভিষেক এখন শুধু স্মৃতি। কিন্তু তার পরিবার আজীবন তার উপস্থিতি অনুভব করেই জীবনের সুখ-দুঃখের প্রতিটা মুহূর্ত কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অভিষেক পত্নী সংযুক্তা (Sanjukta Chatterjee) এবং তার মেয়ে ডল আজও নিজেদের আশেপাশে তার উপস্থিতি অনুভব করেন।

প্রিয় অভিনেতার মৃত্যুর পর তার স্ত্রীর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে চোখ রাখছেন ভক্তরা। মাঝেমধ্যেই সেখানে অভিষেক ও কন্যা ডলকে নিয়ে নানা পোস্ট করে থাকেন সংযুক্তা। জীবনের প্রতিটা গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত অভিষেকের সঙ্গেই কাটাতে চান সংযুক্তা। মেয়ের জন্মদিন হোক বা বাইরে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যানিং, অভিষেককে ছাড়া আজ কিছু ভাবতে পারেন না তিনি। সদ্য মেয়েকে নিয়ে ব্যাংকক গিয়েছিলেন সংযুক্তা। অভিষেকের ছবিও সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে সেই ছবি শেয়ার করেছিলেন তিনি। আর তাতেই একদল নেটিজেনের কটাক্ষের শিকার হতে হয় তাকে।

এভাবে মৃত স্বামীর ছবি নিয়ে বেড়াতে যাওয়া প্রসঙ্গে একদল নেটিজেনের মন্তব্য সংযুক্তা নাকি লোক হাসাচ্ছেন! তিনি নাকি সমবেদনা আদায় করার চেষ্টা করছেন! সোশ্যাল মিডিয়াতে এমন মন্তব্য লক্ষ্য করে মুখ খুলতে বাধ্য হলেন প্রয়াত অভিনেতার স্ত্রী। তিনি ফেসবুকে অভিষেকের সঙ্গে আবার একটি ছবি শেয়ার করে ট্রোলারদের রীতিমতো ধুয়ে দিলেন।

তার কথায়, অনেকেই মৃত স্বামীর ছবি নিয়ে বেড়াতে যাওয়াকে হাস্যকর এবং সমবেদনা আদায়ের চেষ্টা বলে ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। এদের উত্তর না দিলেও চলতো। কিন্তু এই বিষয়টি যেহেতু তার প্রয়াত স্বামী অভিষেকের সঙ্গে জড়িত তাই তিনি মুখ খুলতে বাধ্য হলেন।

তিনি লিখেছেন যেদিন অভিষেকের মৃত্যু হয়েছে সেদিন থেকে তিনি নিজের সংসার নিজে চালাচ্ছেন। তাদের কারও সাহায্যের প্রয়োজন নেই। তিনি শুধু জীবনের বিশেষ মুহূর্তগুলিতে অভিষেকের উপস্থিতি অনুভব করতে চান। কন্যা ডলের জন্মদিনেও অভিষেকের ছবি নিয়ে হাজির হয়েছিলেন তিনি। সব জায়গাতে মৃত স্বামীর ছবি নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন তিনি অনুভব করেন না। কিন্তু যেখানে তার মনে হয় সেখানে তিনি অভিষেককে এভাবেই নিজের সঙ্গে রাখেন।

সবশেষে তিনি লিখেছেন, “সমবেদনা ও ভালবাসায় তফাত রয়েছে। অনেকেই সেটা বোঝেন না। আমি সমবেদনার জন্য বাঁচি না। কারও সেভাবে বাঁচা উচিত নয়। নিজেকে করুণার পাত্র বা পাত্রী মনে করে সবচেয়ে খারাপ জিনিস। তা কখনই কাম্য নয়। যাঁরা বিষয়টি হাস্যকর ভাবেন, তাঁদের বিচার-বিবেচনার উপরই বিষয়টি ছেড়ে দিলাম।”