মুকেশ আম্বানির রাঁধুনীর বেতন দেখলে লজ্জায় মুখ লুকোবে দেশের বড় কর্পোরেট সংস্থার কর্মীরা

ভারত তথা গোটা এশিয়ার অন্যতম নামকরা ধনকুবের মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। তিনি শুধু একজন ধনী ব্যক্তি নন, দেশের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। ভারতবর্ষে তার পরিবারের গুরুত্ব কোনও রাজ পরিবারের থেকে কম নয়। মুকেশ আম্বানি তার পরিবার নিয়ে মুম্বাইতে অ্যান্টিলিয়া নামের যে বাড়িতে বসবাস করেন, তাকেই বিশ্বের সবথেকে দামি বাড়ি বলে গণ্য করা হয়। এই বাড়ির বিলাসবহুল জাঁকজমক দেখলে চোখ উঠবে কপালে।

মুকেশ আম্বানির বাড়ি, গাড়ি, আম্বানি পরিবারের সদস্যদের জীবনযাত্রার মান রাজা-রাজড়াদের থেকে কিছু কম নয়। স্বভাবতই তাদের বাড়িতে হোম সার্ভিসের জন্য রয়েছেন যারা তাদের বেতন কর্পোরেটদের থেকে বেশ কয়েক গুণ বেশি। আজ এই প্রতিবেদনে রইল মুকেশ আম্বানির বাড়ির অন্দরমহলের হেঁসেল সম্পর্কিত কিছু অজানা কথা। আম্বানি পরিবার কোন কোন খাবার এবং পানীয় খেতে পছন্দ করেন তা আজ জানাব আপনাদের।

প্রথমেই জানানো ভাল যে মুকেশ আম্বানি নিজে নিরামিষভোজী। মাছ, মাংস বা ডিম তার পাতে ওঠে না। তাই তার জন্য নিরামিষ খাবারের উপর জোর দিতে হয় বাবুর্চিদের। অ্যান্টিলিয়াতে যে বাবুর্চিরা কাজ করেন তাদের উপরেই কার্যত আম্বানি পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের স্বাস্থ্য নির্ভর করছে। কাজেই খুব দেখেশুনেই এবং খাবারের গুণগত মান বজায় রেখে তাদের রান্নাবান্না করতে হয়।

এই গুরুত্বপূর্ণ কাজটি যাদের কাঁধের উপর রয়েছে তারা তাই খুব সাধারণ মানের মানুষ নন অবশ্যই। আম্বানি পরিবারের চাকর হওয়ার যোগ্যতাও সকলের থাকে না। রীতিমত অনেকগুলো পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তবেই অ্যান্টিলিয়াতে প্রবেশের সুযোগ পান বাবুর্চি থেকে শুরু করে অন্যান্য হোম সার্ভিসের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের। তবে একবার যদি এখানে চাকরি পাকা হয়ে যায় তাহলেই খুলে যাবে ভাগ্যের দরজা।

মুকেশ আম্বানির পরিবারের দেখাশোনার জন্য চাকরি পেলে শুধুই যে ভাল মানের বেতন পাওয়া যাবে তা নয়, আম্বানি হাউস হেল্পদের প্রত্যেককেই বেতনসহ অনেক সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে থাকেন। শোনা যায় অ্যান্টিলিয়াতে বিভিন্ন কাজের জন্য প্রায় ১০০০ জন চাকর রয়েছেন। তাদের প্রত্যেকের বেতন লক্ষাধিক।

এমনিতে আম্বানি পরিবারের সদস্যরা কিন্তু উন্নত গুণমানের সাধারণ খাবার খেতেই পছন্দ করেন। যে বাবুর্চিরা তাদের জন্য খাবার প্রস্তুত করে দেন তারা প্রতিমাসে ২ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক পান। জানলে হয়তো অবাক হবেন আম্বানি পরিবারের বাবুর্চি থেকে শুরু করে গাড়ি চালকরা পর্যন্ত প্রত্যেকেই বিদেশ থেকে পড়াশোনা করে এসেছেন। তাই তো বলা হয় যে আম্বানি পরিবারের সাধারণ চাকর হওয়ার যোগ্যতাও সকলের মধ্যে থাকে না।