কেটে গেল তিন তিনটে বছর। স্টার জলসার (Star Jalsha) একমাত্র ভক্তিমূলক ধারাবাহিক মহাপীঠ তারাপীঠের (Mahapith Tarapith) যাত্রাও থেমে গেল। সম্প্রতি ধারাবাহিকের অন্তিম পর্বের সম্প্রচার হয়েছে। তার আগে বারংবার স্লট বদল হতে হতে সকাল এগারোটার স্লটে থিতু হয়েছিল ধারাবাহিকটি। তবে অচিরেই ধারাবাহিক বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় চ্যানেল। নতুন ধারাবাহিকের দাপটে কোণঠাসা হয়ে পড়ে মহাপীঠ তারাপীঠ। এতে এক বুক অভিমান জমে ‘বামাক্ষ্যাপা’ সব্যসাচী চৌধুরীর (Sabyasachi Chowdhury) মনে।
প্রথমে রাত ১০.০০টার স্লটে ধারাবাহিকটি বেশ ভালই টিআরপি দিত। জি বাংলার কাছে যখন কোণঠাসা হয়ে পড়ে স্টার জলসা, তখন মহাপীঠ তারাপীঠই চ্যানেলের মুখ রক্ষা করে ভালো টিআরপি এনে দিয়েছে। চ্যানেলের দুঃসময়ে পাশে ছিলেন সব্যসাচী। তবে সুসময় আসতেই পিছিয়ে পড়লো মহাপীঠ তারাপীঠ। নতুনের আগমনে বদলে গেল মহাপীঠ তারাপীঠের টাইম স্লট।
এক ধাক্কায় সকাল ১১টার স্লটে নামিয়ে আনা হয়েছিল মহাপীঠ তারাপীঠকে। সোশ্যাল মিডিয়াতে অভিমান প্রকাশ করেছিলেন সব্যসাচী। এবার বন্ধই হয়ে গেল ধারাবাহিক। আর শুটিং নেই। তারা মা এবং বামাক্ষ্যাপার সম্পর্কটাও থমকে গেল। ফেসবুকে তাই নিজের মনের কথা লিখলেন সব্যসাচী। লিখতে লিখতে আবেগ জড়িয়ে ধরেছে তাকে। তিন বছরের যাত্রার শেষ। ‘এটাই বাস্তব, এটাই জীবন’, উপলব্ধি সব্যসাচীর।
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, “এযাবৎ কত সিরিয়াল যে শুরু হয়েছে আর কতই যে শেষ হয়েছে, তা খোদাই জানেন। ২০১৫ সাল থেকে আমার নিয়মিত স্টুডিওপাড়ায় যাতায়াত, টালিগঞ্জ মোড়ের মাথায় যে আমি আজ অবধি কতগুলো ধারাবাহিকের হোর্ডিং পাল্টাতে দেখেছি তা নিজেই গুনে শেষ করতে পারবো না। আসলে সময়ের সাথে হোর্ডিং পাল্টায়, মুখ এক থাকলেও পরিচয় পাল্টায়, পুরোনো পোস্টার ছিঁড়ে নামিয়ে নতুন পোস্টার সাঁটা হয়। নারকেল ফাটিয়ে, ক্যামেরা পুজো করে যে কাজ শুরু হয়, সময়ের সাথে সবাই তা ভুলেও যায়। এটাই বাস্তব, এটাই জীবন।”
ধারাবাহিকের শুটিং শেষ হয়েছিল ১৬ই ফেব্রুয়ারি। শুক্রবার অন্তিম পর্বের সম্প্রচারের পর অনেক দর্শক সোশ্যাল মিডিয়া মারফত সব্যসাচীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এতে আপ্লুত অভিনেতা লিখলেন, ‘‘গতকাল অন্তিম পর্ব দেখে আমায় অনেকেই মেসেজ করেছেন, ধন্যবাদও জানিয়েছেন। আমি অবশ্য তাতে একটু অবাকই হয়েছি, সকাল এগারোটায় এতজন যে দেখবে ভাবতে পারিনি।… আমি বরাবরের মতই, নিমিত্ত মাত্র।”