জুতো মেরে গরুদান, কেকে-কে অপমান করে শ্রদ্ধার্ঘ্য, রূপঙ্করকে ফের ধুয়ে দিল নেটিজেনরা

গত ৩১ শে মে প্রয়াত হয়েছেন গায়ক কেকে (K K)। তার অকালমৃত্যু সংগীত মহলে ডেকে এনেছে এক অপরিসীম শূন্যতা। কেকের মৃত্যুতে আঙুল উঠেছে বাঙালি গায়ক রূপঙ্কর বাগচীর (Rupankar Bagchi) দিকে। দেড় মাস পরেও তাকে ক্ষমা করতে নারাজ কেকের ভক্তরা। সোশ্যাল মিডিয়াতে লাইভে তিনি যেভাবে তার সহকর্মীকে অপমান করেছেন সে কথা ভুলতে পারেননি নেটিজেনরা। ‘অহংকারী’ রূপঙ্করকে ধুয়ে দিয়েছিলেন তারা।

এহেন রূপঙ্কর বাগচী তার ঔদ্ধত্য ভুলে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন অনেক আগেই। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়াতে তার নিস্তার নেই। এবার কেকে-র উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতে গিয়েও বিপাকে পড়তে হল তাকে। কেকে-রূপঙ্কর বিতর্ক খানিক তিস্মিত হয়েছে ভেবে সম্প্রতি একটি বেসরকারি চ্যানেলের সকালের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে কেকের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য জানান রূপঙ্কর।

কেকের গাওয়া ‘মাই ব্রাদার নিখিল’ ছবির জনপ্রিয় গান ‘লে চলে’ গেয়েছিলেন তিনি। গানটি শোনামাত্র‌ই নেটিজেনরা চরম রেগে গেলেন তার বিরুদ্ধে। রূপঙ্করের গাওয়া এই গানের ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়াতে ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে। তা দেখে ভিডিওর কমেন্ট বক্সে একাধিক মন্তব্য জমা হচ্ছে। কেউ লিখছেন, “ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা’’। কেউ লিখছেন, ‘‘প্রায়শ্চিত্তের ব্যর্থ প্রচেষ্টা”। কেউ পুরনো কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে লিখছেন, “উনি নাকি কেকে-কে চিনতেন না”!

উল্লেখ্য, কেকের মৃত্যুর পর রূপঙ্কর এবং তার পরিবারকে যে চরম আক্রোশের মুখে পড়তে হয়েছিল তার পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ মাধ্যমের কাছে তিনি বলেন, “আমার একটি লাইভ ভিডিয়ো গোটা পরিবারকে ঠেলে দেবে চরম আতঙ্ক, দুর্ভাবনা, নিপীড়নের দিকে তা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি। আমার বাড়ির বাইরে পাহাড়া দেবে টালা থানার পুলিশ। নিয়ত হুমকি এসেই যাবে আমার স্ত্রীর ফোনে।”

তিনি আরও বলেন, “গায়ক হিসেবে দেশে বিদেশে বহু মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, স্বীকৃতি পেয়েছি। মুহূর্তের অসতর্কতা এই রকম গনগনে এবং মারমুখি আবেগ বয়ে আনবে কে জানত তা! এত ঘৃণা, এত আক্রোশ। এটা অনেকটাই তৈরি হয়েছে আমি আমার বক্তব্য গুছিয়ে বলতে না পারার কারণে।”