ফেসবুকে মাত্র কয়েক মিনিটের একটা লাইভ ভিডিও, আর তাতেই কার্যত বিগত কয়েকদিন ধরে স্বস্তি খুইয়ে বসেছেন গায়ক রূপঙ্কর বাগচী ( Rupankar Bagchi)! সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্রমাগত কটুক্তি, ট্রোলিং, নিন্দা-সমালোচনার ঝড় রীতিমতো বিধ্বস্ত করে দিয়েছে তাকে এবং তার পরিবারকে। কেকে সম্পর্কে রূপঙ্কর বাগচীর মন্তব্য এখনও যেন ছাইচাপা আগুনের মত জ্বলছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। তাই এখন অনেক বেশি সাবধান হতে হচ্ছে রূপঙ্করকে।
সোশ্যাল মিডিয়াতে তাকে এবং তার পরিবারকে কেন্দ্র করে এত কুকথার বন্যা বয়ে যাচ্ছে, তবুও কিন্তু টু শব্দটিও করেননি রূপঙ্কর। প্রবল কটাক্ষের মুখে পড়ে শুধু সাংবাদিক বৈঠকে প্রকাশ্যে এসে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছিলেন তিনি। মনের কথা গুছিয়ে বলার জন্য লিখে এনেছিলেন বিবৃতি। বৈঠকে সাংবাদিকদের আর কোনও প্রশ্নের জবাব তিনি দেননি। বিবৃতি পাঠ করেই সোজা বৈঠক ছেড়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
সম্প্রতি হিন্দুস্থান টাইমস বাংলার কাছে সাক্ষাৎকার দিলেন রূপঙ্কর। কেমন আছেন তিনি? প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, “আমি ভালো আছি। মানসিক চাপ কিছুটা কেটেছে। এখনও যে পুরোপুরি কেটে গিয়েছে, তা নয়। আমি ভালো থাকার চেষ্টা করছি। ভালো থাকবও।” তবে তিনি ভালো থাকার চেষ্টা করলেও নেটিজেনরা এখনও তাকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না। তাই আরও সাবধান হলেন রূপঙ্কর। নিয়ে ফেললেন এক চরম সিদ্ধান্ত।
আপাতত কিছুদিন সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, “নেট মাধ্যম থেকে দূরে আছি। এখন বেশ কয়েকদিন আমরা সেখান থেকে দূরেই থাকব।” যা ঘটার ঘটে গিয়েছে, এখন আর পেছন ফিরে তাকাতে চাননা রূপঙ্কর। বিতর্কের জেরে তার হাত থেকে একের পর এক কাজ বেরিয়ে গিয়েছে। যদিও টলিউড প্রযোজক রানা সরকার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন গায়ককে।
‘হু ইজ কেকে’, ফেসবুক লাইভে এসে এই প্রশ্ন কার্যত তার কেরিয়ার এবং ব্যক্তিগত জীবনকেই প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। বাঙালি শিল্পীদের হয়ে কথা বলতে গিয়েছিলেন তিনি। মুম্বাইয়ের শিল্পীদের নিয়ে বাঙালি স্রোতাদের এত মাতামাতি, অথচ বাংলার শিল্পীদের নিয়ে সেই উত্তেজনা দেখা যায় না। এই ছিল তার প্রধান বক্তব্য। তবে সেই বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে বলিউডের গায়ক কেকে-র প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।
এরপর আচমকা কেকের মৃত্যু হলে পরিস্থিতি তার বিপক্ষে চলে যায়। রূপঙ্কর এবং তার পরিবারকে এই পরিস্থিতিতে চরম মানসিক চাপের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। মানসিক চাপ কাটাতে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে কিছুদিন দূরত্ব বজায় রাখবেন রূপঙ্কর এবং তার পরিবার।
