অবশেষে বিতর্ক থেকে মিলল স্বস্তি, রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে নেটিজেনদের মানভঞ্জন করলেন রূপঙ্কর

বিতর্কের পর বিতর্ক, কটাক্ষের পর কটাক্ষ, কেকে সম্পর্কিত বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রতিনিয়ত চরম অবমাননা এবং লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়েছিল রূপঙ্কর বাগচীকে (Rupankar Bagchi)। ঘটনার পর ২ সপ্তাহ কেটে গেলেও নেটিজেনদের আক্রোশ যেন কিছুতেই কমতে চাইছিল না। তবে গানের মাধ্যমেই ফের একবার সকলের মন জয় করে নিলেন রূপঙ্কর। রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে নিন্দুকের থেকেও প্রশংসা আদায় করে নিলেন তিনি।

সম্প্রতি ‘দিনের শেষে ঘুমের দেশে’ গানটি গেয়ে সেই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করেছিলেন তিনি। আট ঘণ্টায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার লাইক এবং লাভ রিয়াক্ট পেয়েছে ভিডিওটি। কমেন্ট বক্সে উপচে পড়ছে প্রশংসা। তার এই গান যে নেটিজেনদের পছন্দ হয়েছে এতে দারুণ খুশি গায়ক নিজেও।

এদিকে কমেন্ট বক্সে প্রশংসা করে গায়ককে অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন নেটিজেনরাও। তারা লিখছেন, “আপনি একজন শিল্পী। আর শিল্পীর আসল পরিচয়। তাঁর শৈল্পিক ভাবনা ও কর্মে। সেই গভীরে ডুব দিয়ে যান। যেখানে ছিলেন তার চেয়েও উপরে উঠে যাবেন।যাঁরা আপনাকে আর আপনার গান ভালোবাসে, তাঁরা সবসময় আপনার সঙ্গে ছিল, আছে এবং থাকবে”। রূপঙ্করকে উদ্দেশ্য করে কেউ লিখছেন, “ঈশ্বর প্রদত্ত গলা আপনার। গানেই ডুবে যান। যাতে প্লাবন আসে। ফোকাসটা ঠিক রাখুন। আমরা পাশে আছি”।

আর যারা কেকে-রূপঙ্কর বিতর্কে রূপঙ্করের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হয়েছিলেন তাদের কী মত? তারাও লিখলেন, “রূপঙ্কর আপনার ‘ও চাঁদ’ শুনে আমার ছেলে ছোটবেলায় ঘুমাত। আপনার প্রোগ্রাম দেখতে আমি শিলিগুড়ি থেকে বেহালায় গিয়েছিলাম। কিন্তু, KK আমার আবেগ। তাই আমিও রেগে গিয়েছিলাম। আজ গানটা শুনে রাগটা আর নেই। লাভ ইউ রূপঙ্কর”।

রূপঙ্করের জনৈক অনুরাগী লিখলেন, “বিষাদমাখা এই গান অন্তরের গভীর থেকে গাইলেন। আপনার বিষণ্ণতা আমাকে ছুঁয়ে গেল। অসম্ভব ভালো লাগায় মন ভরে গেল। আশা করি, আপনার খারাপ সময় কেটে যাবে। আলোর ঠিকানা খুঁজে পাবেন। পাশে আছি, থাকব। ভালো থাকবেন।”

এই সময় ডিজিটালের কাছে তিনি তার মানসিক অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেছেন, “প্রশংসা হচ্ছে এতেই আমি ধন্য। যাঁরা আমার প্রশংসা করছেন,তাঁদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ থাকলাম। তাঁরাই আমার শ্রোতা। যাঁরা আমার প্রশংসা করেননি, তাঁরাও আমার শ্রোতা। তাঁদের কাছেও আমি কৃতজ্ঞ থাকলাম”। তিনি আরও বলেছেন, “প্রত্যেকের আলোচনা বা সমালোচনা নিয়েই চলতে হবে। আমার গান যদি শ্রোতাদের ভালো লেগে থাকে, তাঁদের অনুভূতিকে ছুঁয়ে থাকে তার জন্য আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকব।”