অভিষেক চ্যাটার্জীর মৃত্যুর পর থেকেই টলিউডের স্বজনপোষণ (Nepotism) বিতর্ক নিয়ে নতুন করে ঝড় বইতে শুরু করেছে। অভিষেক চ্যাটার্জী টলিউডের প্রথম সারির অভিনেতা হওয়া সত্ত্বেও নোংরা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে বঞ্চিত হয়েছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি নিজেও জীবদ্দশায় প্রকাশ্যে প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী এবং ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের (Rituparna Sengupta) দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রও এই প্রসঙ্গে খোলা চিঠিতে রীতিমতো ধুয়ে দিয়েছেন টলিউডের ‘দাদা’ এবং ‘দিদি’কে।
ঋতুপর্ণার বিরুদ্ধে অভিযোগের উপর অভিযোগ রয়েছে। অভিষেকের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হওয়াতে ঋতুপর্ণা তার সঙ্গে আর ছবি করতে চাননি। এই কারণেই অভিষেকের হাত থেকে ১২টি ছবি প্রস্তাব বেরিয়ে গিয়েছিল। সত্যিই কি ঋতুপর্ণা স্বজনপোষণে ইন্ধন জুগিয়েছেন? একসময় যখন তাকে এই সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয় তখন তিনি মুখ খুলেছিলেন।
ঋতুপর্ণা সরাসরি দাবি করেন, তাকে যেভাবে কটাক্ষ করা হচ্ছে তাতে তার কিছুই বলার নেই। কারণ তিনি যথেষ্ট পরিশ্রম করেই টলিউডে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। ঋতুপর্ণার পরিবারের কেউই টলিউডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। ঋতুপর্ণার বক্তব্য, তিনি তার কাজের মাধ্যমেই পরবর্তী ছবির জন্য সুযোগ পেয়েছিলেন। কোনও ছবিতে ঋতুপর্ণার উপস্থিতিতে সাফল্য এলে পরবর্তী ছবির জন্যেও প্রযোজকরা রীতিমতো লাইন লাগিয়ে দিতেন।
শুধু তাই নয়, পরিচালকদেরও দাবি থাকত, নায়িকা হিসেবে তাদের ঋতুপর্ণাকেই চাই। ঋতুপর্ণা তার পুরনো সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “শুধু বাংলাতে নয়, একাধিক ভাষায় ছবি করেছি, শুধুমাত্র স্বজনপোষণের উপর ভিত্তি করে এতটা সাফল্য পাওয়া যায় না”। তিনি আরও বলেন, “সেভাবে বলতে গেলে আমি নিজেই এক প্রকার স্বজনপোষণের শিকার হয়েছি।” তবে সেটাকে স্বজনপোষণ হিসেবে নয়, ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকার লড়াই হিসেবে দেখেছেন ঋতুপর্ণা।
ঋতুপর্ণার মতে খেলায় সব সময় জেতা যায় না, খেলাতে হার-জিত থাকবেই। তাই যখন হেরে গিয়েছেন তখন নিজেকে আবার নতুন করে যোগ্য হিসেবে তুলে ধরেছেন ঋতুপর্ণা। শুধু টলিউডে নয়, এক সময় বলিউডেও ভাগ্য পরীক্ষা করতে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে বলিউডের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে উঠতে পারছিলেন না। সংসারের চাপে বলিউডকেও তাই একসময় বিদায় জানাতেই হয় তাকে।