

করোনা পরিস্থিতিতে মহাসংকটে রয়েছে দেশ। বিশ্বব্যপী এই মহামারি রুখতে সারা ভারতে চলছে লকডাউন। প্রান্তিকী মানুষদের কর্মসংস্থান বন্ধ। দিন এনে দিন খাওয়া মানুষদের দুবেলা খাওয়া জুটছে না ঠিক করে। এই সকল প্রান্তিকী মানুষদের কথা ভেবে এবার এগিয়ে এলেন রিলায়েন্স এর চেয়ারম্যান নীতা অম্বানি। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে বিএমসির সাথে মিলিত ভাবে সর্বপ্রথম ১০০ বেডের হাসপাতাল তৈরী করেন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী ত্রান তহবিলে ৫৩৫ কোটি টাকা দান করেন রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন। এবার প্রান্তিকী মানুষদের মুখে অন্ন তুলে দিতে চলেছে রিলেয়েন্স।
গরীব মানুষদের মুখে অন্ন তুলে দিতে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন নিয়ে এসেছেন “মিশন অন্ন সেবা”। সম্প্রতি নীতা অম্বানি একটি বার্তা দেন। সেই বার্তায় তিনি বলেন, কোভিড-১৯ ভাইরাসটি সারা বিশ্ব, ভারত ও মানবজাতির জন্য মহামারির রূপ নিয়েছে। করোনার প্রভাবে ভারতে দীর্ঘদিন লকডাউন চলায় দিন এনে দিন খাওয়া মানুষদের পরিস্থিতি নীতা অম্বানী ও মুকেশ অম্বানীর মনকে আন্দোলিত করেছে। নীতা অম্বানি বলেন, এই দিন এনে দিন খাওয়া মানুষরাও রিলায়েন্স পরিবার, ভারত পরিবারের সদস্য। তাই রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন ‘মিশন অন্ন সেবা’র দ্বারা গরীব মানুষদের সেবা করবে।
নীতা অম্বানী বলেন, ভারতীয় সংস্কৃতিতে অন্নদান মহৎ দান। উপনিষদ শেখায়, অন্নই ব্রহ্ম। তাই মিশন অন্ন সেবার দ্বারা ৩ কোটি মানুষদের কাছে অন্ন পৌঁছে দেবে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন। খাদ্য পৌঁছে যাবে কারখানার শ্রমিক, আর্বান সার্ভিস প্রোভাইডার, বস্তিবাসী, বৃদ্ধাশ্রম ও অনাথ আশ্রমে। নীতা অম্বানী বলেন, মিশন অন্ন সেবা সারা বিশ্বের সব থেকে বড় প্রথম খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠান। এর আগে বিশ্বের কোনো কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান এত মানুষকে অন্ন পরিষেবা দেননি। নীতা দেবী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে দেশের মানুষদের জয়লাভ করানোর জন্য যা যা করা সম্ভব তা করা আমাদের কর্তব্য।
Smt #NitaMAmbani, Founder & Chairperson, #RelianceFoundation, announced the launch of #MissionAnnaSeva which will be the largest meal distribution programme ever undertaken by a corporate foundation anywhere in the world. #CoronaHaaregaIndiaJeetega pic.twitter.com/t06J1QsmeI
— Reliance Foundation (@ril_foundation) April 21, 2020
আরও পড়ুন :- এক বছর ধরে কাটা হবে বেতন, বাড়বে না ডিএ, কেন্দ্রের বড় ঘোষণা
নীতা অম্বানি বলেন, রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন দেশের মধ্যে সর্বপ্রথম বিএমসির সাথে মিলিতভাবে যে ১০০ শয্যার হাসপাতাল তৈরী করেন সেই হাসপাতালের শয্যা বাড়িয়ে ২৫০ করা হয়েছে। রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন সারা দেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য প্রতিদিন এক লাখ মাস্ক ও পিপিই বিতরন করবে। কোভিড-১৯ রোগীরা যাতে দ্রুত পরিষেবা পায় তার জন্য এমার্জেন্সি গাড়ীগুলির জ্বালানির জোগান দেবে রিলায়েন্স। এছাড়াও ২০০ টি শহরে রিলায়েন্স স্টোর গুলিতে অত্যবশ্যকীয় সামগ্রীর পরিষেবা দেওয়ার জন্য ও হোম ডেলিভারি দেওয়ার জন্যেও অতিরিক্ত সময় কাজ করছেন রিলেয়েন্স কর্মীরা।
আরও পড়ুন :- ‘স্নেহের পরশ’ প্রকল্পে মিলবে ১০০০ টাকা, জানুন আবেদন পদ্ধতি
এছাড়াও জিও ৪০ কোটি মানুষকে ও হাজারেরও বেশি সংস্থাকে ওয়ার্ক ফ্রম হোম, স্টাডি ফ্রম হোম ও বাড়ি থেকে সাহাজ্যের জন্য নিখুঁত পরিষেবা দিচ্ছে। নীতা অম্বানি ও মুকেশ অম্বানি রিলায়েন্স পরিবারের যে সদস্যরা এই পরিস্থিতিতেও কাজ করছেন এবং যে ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা পরিষেবা দিচ্ছেন ও জিও পরিষেবার সাথে যুক্ত কর্মীদের উদ্দ্যেশ্যে স্যাল্যুট জানিয়েছেন। তাঁদের কোভিড যুদ্ধের হিরো বলে আখ্যা দেন তিনি। নীতা অম্বানি বলেন, এর আগেও ভারতে যত বার দূর্যোগ নেমে এসেছে ভারতীয়রা এক হয়ে লড়েছেন আবারও তার অন্যথা হবে না। তিনি বলেন, “করোনা হারেগা, ইন্ডিয়া জিতেগা।“