‘কাঁচা বাদাম’ এর জন্য উড়েছে ঘুম, ‘বাদাম কাকু’র দাপটে ছারখার রানু মন্ডলের জীবন

সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে খ্যাতি অর্জন করেছেন দুজনেই। একজন লতাকন্ঠী রানু মন্ডল (Ranu Mondal)। তিনি একসময় রানাঘাট স্টেশন চত্বরে ঘুরে ঘুরে লতা মঙ্গেশকরের গান গেয়ে রোজগার করতেন। অপরজন বাদাম কাকু (Badam Kaku)। আজ অবশ্য খ্যাতির বিড়ম্বনায় খানিক কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন রানু মন্ডল। তবুও তার জনপ্রিয়তা একেবারে শেষ হয়ে যায়নি। তার এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার কিংবা তার গাওয়া গান বা তার মুখ নিঃসৃত কিছু বেফাঁস মন্তব্য আজও সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরালের দুনিয়ায় জায়গা করে নেয়।

অন্যদিকে মাত্র কয়েক মাস হল ট্রেন্ডে এসেছেন বাদাম কাকু ভুবন বাদ্যকর (Bhuban Badyakar)। বলতে গেলে ভাইরালের দুনিয়ায় রানু মন্ডলের জুনিয়র তিনি। তবুও তার ট্রেন্ডিং গান ‘কাঁচা বাদাম’ (Kacha Badam) এর দাপটে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন রানু মন্ডল। কেন? কারণ ইদানিং যারা তার সাক্ষাৎকার নিতে আসেন তারা প্রায় সকলেই ‘কাঁচা বাদাম’ গেয়ে শোনানোর আবদার করেন তার কাছে। তার ইচ্ছে থাকুক বা না থাকুক, গান তাকে শোনাতেই হয়!

সম্প্রতি কলকাতায় এসেছিলেন রানু মন্ডল। বলিউডে তার বায়োপিক বানানো হচ্ছে। তার জন্য সিধু এবং সন্দীপ করের পরিচালনায় দুটি গান রেকর্ড করানো হয় তার কণ্ঠেই। রেকর্ডিংয়ের জন্য দক্ষিণ কলকাতার একটি স্টুডিওতে আনানোর ব্যবস্থা করা হয় রানু মন্ডলকে। রানু মন্ডল কলকাতায় আসছেন, খবর পেয়েই সংবাদমাধ্যম ঘিরে ধরে তাকে।

ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই ক্যামেরা, সংবাদমাধ্যম, ইউটিউবাররা রানু মন্ডলকে যেন আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছেন। কলকাতায় এসেও এক ঘটনা, একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে তার প্রাণ ওষ্ঠাগত। বারংবার মুখে কেবল একটাই কথা শোনা গেল, “বাড়ি যাবো। ভাল লাগছে না”। তবে সংবাদমাধ্যম কি আর রানু মন্ডলকে ছাড়ে? কেউ বলছেন ‘কাঁচা বাদাম গাও’, কারও দাবি এমন কোনও বেফাঁস মন্তব্য যা হিট হবেই! সবের মাঝে পড়ে হাঁসফাঁস দশা রানু মন্ডলের।

খ্যাতির বিড়ম্বনায় ভুগছেন রানাঘাটের রানু মন্ডল। আজও প্রায়দিন তার বাড়িতে হানা দেন ইউটিউবাররা। কেউ কেউ আবার বিরক্তও করেন। রানু মন্ডলের দাবি ভাইরাল হওয়ার আগেও তাকে অনেকেই বিরক্ত করতেন। ভাইরাল হওয়ার পর তো এখন বাড়ি থেকে বেরোনোই মুস্কিল হয়ে দাঁড়িয়েছে! মুম্বাই থেকে ফিরে আসার পর প্রথম প্রথম মাসে ৪-৫ হাজার টাকা রোজগার হত। এখন সেসব হয় না। এখন কনটেন্ট ক্রিয়েটররা তাকে নিয়ে ভিডিও বানানোর জন্য বিস্কুট, কেক, বিরিয়ানি নিয়ে আসেন। তবে বেশিরভাগ সময়ই সেগুলি ‘পচা’ বের হয়। খেতে না পেরে ফেলেই দিতে হয়।