উদ্ভট মেকআপ, আজগুবি সাজ, সুদীপার পিলে চমকানো ভিডিও দেখে রোস্ট করে ধুয়ে দিল নেটিজেনরা

অপমানের উপর অপমান নিত্য সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে রান্নাঘরের (Rannaghor) রানী সুদীপা চ্যাটার্জীর (Sudipa Chatterjee)! তিনি যাই করেন না কেন, সোশ্যাল মিডিয়াতে সেই ট্রোলের সম্মুখীন হতেই হচ্ছে তাকে। সুইগি কাণ্ডের জের এখনও কাটেনি, তার মধ্যেই কখনও রান্নাঘরের সেটে গান গাওয়া নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হচ্ছে সুদীপাকে। কখনও আবার রঙচঙে রিল ভিডিও শেয়ার করে পাচ্ছেন ‘ডাকিনী’ অপবাদ!

সম্প্রতি ইনস্টাগ্রাম একাউন্ট থেকে একটি রিল ভিডিও শেয়ার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় হাসির খোরাক হলেন সুদীপা। ঐশ্বর্য রাই বচ্চন অভিনীত ‘আঁখো কি গুস্তাখিয়া’ গানের সঙ্গে লিপ মেলাচ্ছিলেন সুদীপা। একে তো তার চড়া মেকআপ, তার উপর আবার অদ্ভুত ধরনের রঙিন এক ফিল্টার ব্যবহার করেছিলেন তিনি। সবটা মিলিয়ে অদ্ভুত ভিডিও দেখে হাসি থামাতেই পারছেন না নেটিজেনরা।

SUDIPA CHATTERJEE

সোশ্যাল মিডিয়াতে জঘন্যভাবে ট্রোল করা হচ্ছে সুদীপাকে নিয়ে। কেউ লিখছেন, “জঘন্য, নিজেকে ঐশ্বর্য ভাবছেন নাকি? মাথাটা পুরো গেছে।’’ কেউ আবার মজা করে লিখছেন, ‘‘ভাগ্যিস দিনে চালিয়েছি, রাতে চালালে পাক্কা হার্ট অ্যাটাকে মরতাম।” সুদীপাকে কেউ কেউ বলছেন, “এরকম সাজবেন না, আপনাকে ডাকিনির মত লাগছে।”

কিছুদিন আগে সুইগি ডেলিভারি বয়দের সম্পর্কে অপমানজনক মন্তব্য করায় ‘অহংকারী’ সুদীপাকে ধুয়ে দিয়েছিলেন নেট নাগরিকরা। সুদীপা সেই সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়াতে ক্ষমা চেয়ে সাফাই দিলেও কেউ শোনেননি সে কথা। এখনও সোশ্যাল মিডিয়াতে উঠতে বসতে কথা শুনতে হচ্ছে তাকে। পরিস্থিতি এমনই যে বিরক্ত হয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে কমেন্ট বক্সটাকেও প্রাইভেট করে রেখেছেন অভিনেত্রী।

সুইগি নিয়ে বিতর্ক তো ছিলই, সম্প্রতির শাড়ির ব্যবসা করতে গিয়েও মুখ পুড়িয়েছেন সুদীপা। লাইভে শাড়ি বিক্রি করতে এসেছিলেন সুদীপা। তখনই জনৈক মহিলা তার বিরুদ্ধে আনলেন মারাত্মক অভিযোগ। তিনি দাবি করেছিলেন সুদীপার কাছে তিনি নাকি ২২ হাজার টাকার শাড়ি কিনেছেন, অথচ এখনও তার ডেলিভারি হয়নি। এমনকি তিনি তার টাকাটাও ফেরত পাচ্ছেন না।

বিতর্ক এখানেই থেমে থাকেনি, ওই মহিলার এমন মন্তব্য চোখে পড়ার পর আরও একজন দাবি করেছেন সুদীপা নাকি তার থেকেও এক লক্ষ টাকা মেরে দেওয়ার তালে ছিলেন! তবে তিনি সঠিক সময়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কারণেই রান্নাঘরের রানী তাকে টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হন। পুরনো কেচ্ছা সামনে আসাতে সুদীপার অস্বস্তি বাড়লো বই কমলো না।