
ভাগ্য মানুষের সহায় হলে তাকে রুখবে কে? ১০ বছরের ছোট্ট একটি মেয়ে আম্বানি পরিবারের মুকেশ আম্বানির (Mukesh Ambani) ভাই অনিল আম্বানি (Anil Ambani) এবং টিনা মুনিমের বিয়ের সময় মাত্র ৫০ টাকার বিনিময়ে খাবার পরিবেশনের কাজ করতো। সেই মেয়ে আজ বলিউডের একজন তারকা। তার নাচ এবং অভিনয়গুণে বহু মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন তিনি। জানেন কি কে এই মেয়ে?
এই মেয়ে আর কেউ নন, বলিউডের ‘ড্রামা কুইন’। পরিচয় আন্দাজ করতে পারছেন কি? আরেকটু খোলাসা করেই বলা যাক। আমেরিকানিবাসী রিতেশকে বিয়ে করেও দীপক কালালের সঙ্গে লাইভ ফুলশয্যা করার কথা ঘোষণা করে লাইমলাইটে এসেছিলেন নায়িকা। তিনি আর কেউ নন রাখি সাওয়ান্ত (Rakhi Sawant)। বারবার বিতর্কে জড়িয়ে লাইমলাইট কেড়ে নেন যিনি, তার জার্নিটা খুব ছোট বয়স থেকেই শুরু হয়েছিল।
রাখির আসল নাম নীরু ভেদা। বলিউডে পা রাখার আগে তিনি নিজের নাম বদলে নেন। বেড়ে ওঠা অত্যন্ত গরীব পরিবারে। তার মা ছিলেন একটি হাসপাতালের পরিচারিকা এবং বাবা ছিলেন পুলিশ কনস্টেবল। অত্যন্ত সংরক্ষণশীল পরিবারে তার বেড়ে ওঠা। আজও তার পরিবারে মেয়েরা পুরুষের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে পারে না। রাখির পরিবার তার নাচও পছন্দ করতেন না। বাড়িতে নাচের প্রশিক্ষণ নেওয়ার অনুমতি ছিল না।
একবার তার কাকা তার চুল কেটে দিয়েছিলেন যাতে রাখি নাচে অংশগ্রহণ করতে না পারে। নাচের প্রতি আগ্রহ থেকে তিনি বহুবার মার খেয়েছেন বাড়িতে। তবে নিজের স্বপ্নকে কখনও হারিয়ে যেতে দেননি। স্বপ্নপূরণের তাগিদে তিনি বাড়ি থেকেই বেরিয়ে যান। বলিউডে নিজের জায়গা করতে এসেছিলেন রাখি। কিন্তু এখানে জায়গা করে নেওয়া সহজ ছিল না। বারবার প্রত্যাখ্যাত হতে হয়েছে তাকে। তবুও হাল ছাড়েননি। শেষমেষ বলিউডে বেশ কিছু আইটেম গান এবং ছোটখাটো ভূমিকায় অভিনয়ের সুযোগ পান।
এরমধ্যে শাহরুখ খানের ‘ম্যায় হু না’ও রয়েছে যেখানে চুম্বন দৃশ্যের জন্য তিনি নজর কেড়েছিলেন। তবে শুধু হিন্দি ছবিতে নয়, রাখি বেশকিছু তেলেগু, মারাঠি, তামিল এবং কন্নড় ছবিতেও অভিনয় করেন। ইন্ডাস্ট্রিতে বেশকিছু রিয়েলিটি শোতেও অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। তবে যেখানেই গিয়েছেন বিতর্ক তার সঙ্গী হয়েছে। ‘নাচ বালিয়ে’তে মিকা সিংয়ের সঙ্গে চুম্বন দৃশ্য নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল তার ব্যক্তিগত জীবন। ‘রাখি কা স্বয়ম্বর’, ‘বিগ বস সিজন ১৪’তে অংশগ্রহণ করেও বিতর্ক কুড়িয়েছিলেন।
বিগবসের প্রতিযোগিতায় ইলেশ পারুজনওয়ালার সঙ্গে তার সম্পর্ক হয়। যদিও তাদের তাড়াতাড়ি বিচ্ছেদও হয়ে যায়। এরপর রাখি বলেন টাকার জন্য তিনি এঙ্গেজমেন্ট করেছিলেন। রাখি রাজনীতিতে ভাগ্য পরীক্ষা করেছিলেন। ২০১৪ সালে রাষ্ট্রীয় আম পার্টির হয়ে তিনি লোকসভা নির্বাচন লড়ে হেরে গিয়েছিলেন। এরপর সেই দল ছেড়ে আর পি আইতে যোগ দেন। তাকে এই দলে রাজ্যের ভাইস প্রেসিডেন্ট করা হয়।