রচনাকে ট্রোল করার ফল , যোগ্য জবাবে ধুয়ে দিলেন বাংলার দিদি নাম্বার ওয়ান

বাংলা সিনে ইন্ডাস্ট্রি থেকে শুরু করে বাংলা টেলিভিশন পর্যন্ত দাপটের সঙ্গে কাজ করছেন রচনা ব্যানার্জী (Rachana Banerjee)। তিনি প্রমাণ করেছেন নায়িকারা শুধুই সিনেমার জন্য নন, বাংলা টেলিভিশনেও তারা দাপটের সঙ্গে রাজত্ব করতে পারেন। যেমনটা তিনি করছেন বিগত ১০ বছর ধরে। জি বাংলা দিদি নাম্বার ওয়ান তাকে এনে দিয়েছে নতুন জীবন। সেই সঙ্গে তিনিও প্রতিদিন হাজার হাজার মহিলাকে জীবনের অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন।

রচনা ব্যানার্জীর গোটা জীবনটাই বলতে গেলে মহিলাদের জন্য একটা বড় অনুপ্রেরণা। জীবনে কখনও হার মানেননি রচনা। জীবনে যা কিছু করেছেন যা কিছু পেয়েছেন সবটাই নিজের চেষ্টায় পেয়েছেন। ‘পাইয়ে দেওয়া’তে তিনি বিশ্বাসী নন। একসময় চুটিয়ে সিনেমাতে কাজ করেছেন। তারপর নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে টেলিভিশনে মেলে ধরেছেন। এখনও কিন্তু থেমে নেই রচনা। সঞ্চালনার পাশাপাশি তিনি এখন হয়ে উঠেছেন ব্যবসায়ী।

রচনা ব্যানার্জী কিছুদিন আগেই তার নতুন শাড়ির ব্যবসা খুলেছেন। যেটা দেখে নেটিজেনদের একাংশ তাকে সমর্থন করলেও অনেকেই রে রে করে উঠেছিলেন। এত বড় মাপের অভিনেত্রীর ব্যবসা করার কী দরকার আছে? প্রশ্নটা সরাসরি রচনার দিকে আঙুল তুলেছিল। কিন্তু রচনা তার কোনও জবাব দেননি কখনও। তবে দিদি নাম্বার ওয়ানের একটি পর্বে এই প্রসঙ্গ উঠতেই ট্রোলারদের ধুয়ে দিলেন রচনা।

বাংলার দিদি নাম্বার ওয়ান সর্গবে বলেছেন, “আমি কাউকে নিয়ে ভাবি না। আমার কারও কাছে কিছু শোনার নেই। কেউ আমাকে এক পয়সা দিয়েও হেল্প করেনি। যখন প্রথম কাজ করেছি ৪০০ টাকা পেতাম। আমাকে কেউ বানাইনি আমি নিজে থেকে নিজের জায়গায় এসে পৌঁছেছি। কেন শাড়ি ব্যবসায় ঢুকলাম? মেয়েদের সাপোর্ট করে দিদি নাম্বার ওয়ান। মহিলারা আমার সঙ্গে রিলেট করতে পারে।”

রচনা বলেছেন, “ভবিষ্যতে যখন আমি এই নিয়ে কাজ করব যাতে মহিলারা তখনও আমার সঙ্গে থাকেন এবং আমি উওম্যান এমপাওয়ারমেন্ট নিয়ে কাজ করতে পারি সেই জন্য কাজ করে যাব। আমি নিজে কষ্ট করে আজ রচনা ব্যানার্জি হয়েছি। তাই যারা আমাকে নিয়ে ট্রোল করে আমার কিছু এসে যায় না।’

বাংলার এই অভিনেত্রী উড়িয়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন এক সময়। এরপর যখন তিনি বাংলায় ছিলেন তখন প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জির সঙ্গে জুটি বেঁধে বাংলাতেও রীতিমত রাজত্ব করেছেন। আজ টেলিভিশনে রাজত্ব করে হয়েছেন দিদি নাম্বার ওয়ান। কোটি কোটি মহিলার ভরসা, অনুপ্রেরণার জায়গা তিনি। একা হাতে সামলাচ্ছেন সংসার, সন্তান আর কেরিয়ার। বাংলাতে তিনিই তো প্রকৃত দিদি নাম্বার ওয়ান।