বাবার পর প্রয়াত রচনার ‘কাছের মানুষ’, প্রিয়জনকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ রচনা

টলিউড (Tollywood) অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি (Rachana Banerjee) একসময় ওড়িসি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে চুটিয়ে কাজ করতেন। তার কেরিয়ারে বলতে গেলে সিংহভাগ সময়টাই উড়িষ্যাতে কেটেছে। সেই সূত্রে ওড়িশি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে তার সম্পর্ক অনেক গভীরে। এবার সেই ইন্ডাস্ট্রির একজন অভিনেতার মৃত্যুতে রীতিমতো ভেঙে পড়লেন রচনা ব্যানার্জী। প্রয়াত হয়েছেন তার সহ-অভিনেতা মিহির দাস (Mihir Das)।

ওড়িয়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির (Odia Film Industry) কিংবদন্তি অভিনেতা মিহির দাস সম্প্রতি কটকের এক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৬৩ বছর। একমাস আগে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিডনিজনিত সমস্যাতেও ভুগছিলেন অভিনেতা। দীর্ঘদিন ধরেই তার ডায়ালাইসিস চলছিল। বেশ কয়েকদিন ভেন্টিলেশনেও ছিলেন। রচনার সঙ্গে তিনি যে উল্লেখযোগ্য সিনেমা গুলিতে কাজ করেছিলেন তার মধ্যে ‘গঙ্গা-যমুনা’, ‘এক চিলতে সিঁদুর অন্যতম’।

অভিনয় সূত্রে আলাপ। তবে কর্মজীবনে মিহির দাসের কাছ থেকে অনেক কিছুই শিখেছিলেন অভিনেত্রী। তাই সহঅভিনেতার মৃত্যুতে তিনি শোকেস্তব্ধ। শোকবিহ্বল হয়ে এই সময় ডিজিটালকে অভিনেত্রী বলেন, “অনেক দিনের সম্পর্ক ওঁর সঙ্গে, ভীষণ কাছের মানুষ ছিলেন, আমাকে ভীষণ স্নেহ করতেন শুধু তাই নয় অনেক কাজ শিখেছি ওঁর কাছ থেকে। একটা দুটো সিনেমা নয়, বহু সিনেমা করেছি আমরা একসঙ্গে। সব থেকে বড় কথা অসম্ভব শ্রদ্ধা করতেন। বাংলা থেকে গিয়েছিলাম বলে অন্যরকম কোনও ব্যবহার পাইনি ওখানে বরং সবাই ভালোবেসেছে। কিন্তু আমার কাছে খুবই দুঃখের খবর এটা, কিন্তু জীবনের নিয়মই তাই”।

ওড়িশার বীরাপদায় ময়ূরভঞ্জ জেলাতে জন্ম হয়েছিল অভিনেতা মিহির দাসের। ‘স্কুল মাস্টার’ ছবিতে অভিনয় করে তিনি তার কেরিয়ার শুরু করেন। ১৯৭৯ সালে ‘মথুরা বিজয়’ ছিল তার দ্বিতীয় ছবি। ১৯৯৮ ছেলে ‘লক্ষ্মী প্রতিমা’ ছবির জন্য উড়িষ্যা সরকারের তরফ থেকে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছিলেন মিহির দাস। এছাড়াও Mu Tate Love Karuchhi ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতা হিসেবে ২০০৭ সালে তাকে পুরস্কৃত করা হয়।

উল্লেখ্য, সদ্য বাবাকে হারিয়েছেন রচনা। বাবার মৃত্যুর পরেও বেশ ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। স্বামী প্রবাল বসুর থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার পর ছেলে প্রনীলকে নিয়ে মা-বাবার সঙ্গেই থাকতেন রচনা। বাবা ছিলেন তার অত্যন্ত কাছের। বাবার অনুপ্রেরণাতেই নতুন করে শাড়ির বুটিক খোলার সিদ্ধান্ত নেন দিদি নাম্বার ওয়ান। বাবার প্রয়াণে বেশ কিছুদিন শুটিং থেকে দূরে থাকতে হয়েছিল তাকে। তবে শোক সামলে একটু একটু করে তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরছিলেন। তার মধ্যেই ফের কাছের মানুষকে হারালেন রচনা।