বাবা ছিলেন তার বন্ধুর মত। জীবনের প্রতিটি ধাপে যখনই প্রয়োজন হয়েছে তখনই তিনি তার বাবাকে পাশে পেয়েছেন। ইন্ডাস্ট্রিতে কেরিয়ার শুরু করা থেকে শুরু করে পরবর্তী দিনে টেলিভিশন শো সঞ্চালনায় এমনকি রচনা যখন শাড়ির ব্যবসা শুরু করলেন অনলাইনে, তখনও বাবা তাকে সব সময়ে সমর্থন করেছেন। বাবাকে হারিয়ে নিজের জীবনের সব থেকে কাছের মানুষটিকেই হারিয়ে ফেলেছেন রচনা ব্যানার্জি (Rachana Banerjee)।
রচনার বাবার রবীন্দ্রনাথ ব্যানার্জির মৃত্যু হয়েছে কয়েক মাস আগে। সম্প্রতি জি বাংলার (Zee Bangla) ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’-এ (Didi Number One) উপস্থিত হয়েছিলেন প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী (Prasenjit Chatterjee)। তার আসন্ন ছবি ‘আয় খুকু আয়’ এর প্রচারের জন্য তিনি ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ এর সেটে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন।
ক্যামেরার সামনে রচনাকে তার বাবার সম্পর্কে কিছু বলার জন্য অনুরোধ করেন প্রসেনজিৎ। এরপর যা ঘটে তাতে কার্যত মুহূর্তের মধ্যেই দিদি নাম্বার ওয়ানের সেটে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন সকলেই। বাবার কথা বলতে গিয়ে রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়লেন রচনা।
বাবার প্রসঙ্গ উঠতেই বেশ কিছুক্ষণের জন্য একটি শব্দও উচ্চারণ করতে পারেননি রচনা। বহুদিনের বন্ধু তথা সহ-অভিনেত্রীর এমন অবস্থা দেখে তার পাশে এসে দাঁড়ান প্রসেনজিৎ। কাঁধে হাত রেখে তিনি তাকে সান্ত্বনা দেন। মুছিয়ে দেন চোখের জল। তারপর ধীরে ধীরে নিজেকে সামলে নেন সঞ্চালিকা। বলে ওঠেন, “আমার বাবাই আমার সব ছিল”।
রচনা বলেন, “বাবার সঙ্গে কাটানোটা আশীর্বাদ। একটা সময় সবাইকেই এক হয়ে যেতে হবে। এটাই নিয়ম। সেই অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে বলেই মনে হয় বাবার সঙ্গে আরও কয়েকটা দিন বেশি সময় কেন কাটালাম না।” তার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়েছিলেন বাবা। মেয়ের দেখাশোনার জন্য তিনি চাকরি ছেড়ে তার সঙ্গে চলে গিয়েছিলেন ভিন রাজ্যে। জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে এবং কেরিয়ার গড়তে বাবার অবদান তাই কখনও ভুলতে পারেন না রচনা।