12 Unknown Facts About Rabindranath Tagore : আজ ২৫শে বৈশাখ, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিন। গান ও সাহিত্য ক্ষেত্রে তার অবদানের কথা জানে গোটা বিশ্ব। তবে রবীন্দ্রনাথ শুধু তার সাহিত্যচর্চার মধ্যেই সীমিত ছিলেন না, ডাক্তারি থেকে শুরু করে কৃষিকাজেও তার কতটা অবদান ছিল জানেন? আর এই প্রতিবেদনে রইলো রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে ১২ অজানা তথ্য যা প্রত্যেক বাঙালি জানা উচিত।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আঁকা, সংগীত, শারীর শিক্ষা ও কুস্তিবিদ্যাতেও পারদর্শী ছিলেন। বড় ভাই হেমেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছে পড়াশোনার পাশাপাশি রবীন্দ্রনাথ তিনি জুডো, জিমনাস্টিক এবং কুস্তি শিখতেন। প্রথাগত শিক্ষার প্রতি উদাসীন ছিলেন রবীন্দ্রনাথ। তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে শিক্ষার্থীদের মুখস্ত বিদ্যাচর্চার বিরোধিতা করেন এবং শান্তিনিকেতনে নিজের মনের মত শিক্ষাঙ্গন গড়ে তোলেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরদের একটা বড় অংশ লেখালেখির কাজে কাটিয়ে দিতেন। ভোর চারটেয় ঘুম ভেঙে স্নান-পুজো সেরে লিখতে বসতেন। রাত বারোটা পর্যন্ত একটানা লিখতে বা পড়তে পারতেন তিনি। এটাই ছিল তার নিত্য রুটিন। তিনি ছিলেন ভোজন রসিক। দুপুরে বাঙালি খাবার জমিয়ে খেলেও রাতের খাবারের জন্য তার পছন্দ ছিল বিদেশী ইংরেজদের খাবার।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার প্রতি ভরসা ছিল রবীন্দ্রনাথের। তিনি তার নিজের জমিদারি প্রজাদের জন্য হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার পরিষেবা চালু করেন। তিনি নিজেও হোমিওপ্যাথি পদ্ধতিতে চিকিৎসা নিতেন। ‘হেলথ কো-অপারেটিভ’ তৈরি করে ভারতবর্ষে চিকিৎসার ব্যবস্থা তিনিই প্রথম চালু করেন।
আরও পড়ুন : ঠাকুর বংশের মেয়ে হয়ে মুসলিমকে কেন বিয়ে করলেন শর্মিলা? জবাব দিলেন ‘বেগম পতৌদি’
নোবেল পুরস্কার পাওয়ার সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ বেশ কিছু টাকাও পেয়েছিলেন। এই টাকাও তিনি সমাজসেবার কাজে লাগান। এই টাকা দিয়ে তিনি তার নিজের ছেলের রথীন্দ্রনাথ এবং বন্ধু পুত্র সন্তোষ মজুমদারকে আমেরিকায় ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি ও পশুপালন নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য পাঠান। তারা ফিরে এসে শিলাইদহ ও পতিসরে ৮০ বিঘা জমিতে আদর্শ কৃষি ক্ষেত্র ও ল্যাবরেটরি তৈরি করেন।
আরও পড়ুন : রবি স্মরণে পিয়ানোতে ‘তুমি রবে নীরবে’ বাজালেন হৃত্বিক, সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিও
রবীন্দ্রনাথ ১৯০৫ সালে পতিসর কৃষি ব্যাংক চালু করেছিলেন। নোবেল প্রাইজের টাকা তিনি নিজের জন্য না রেখে কৃষকদের সুবিধার জন্য খরচ করেন। এখান থেকে কৃষকরা যাতে স্বল্প সুদে ঋণ নিতে পারেন তার জন্য চালু করা হয়েছিল এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠান। রবীন্দ্রনাথের এই ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান কুড়ি বছর পর্যন্ত চলেছিল।
আরও পড়ুন : নির্ভুল বাংলা উচ্চারণে খালি গলায় নাইজেরিয়ান যুবকের রবীন্দ্রসঙ্গীত ভাইরাল
এছাড়া কবিতা, গান, নাটক, অভিনয়, সাহিত্য, ছবি আকার ক্ষেত্রে রবীন্দ্রনাথের অবদান বলে শেষ করা যায় না। একাধারে একাধিক প্রতিভার অধিকারী ছিলেন তিনি। নাচেও তার বেশ পারদর্শিতা ছিল। তিনি ছোটবেলায় বল ডান্স শিখেছিলেন। তিনি তার নিজস্ব নৃত্যশৈলীর জন্ম দিয়েছিলেন যাকে ‘ভাব নৃত্য’ নাম দেন।