সবার সামনেই রচনাকে বুকে টেনে নিলেন প্রসেনজিৎ, ভরিয়ে দিলেন আদরে, লজ্জায় লাল রচনা

টানা ৩০ এরও বেশি সিনেমাতে জুটি হিসেবে অভিনয় করলে নায়ক-নায়িকার মাঝে সম্পর্কটা কিছু বেশিই গভীর হয়ে যায়। টলিউড (Tollywood) অভিনেত্রী প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী (Prasenjit Chatterjee) এবং রচনা ব্যানার্জীর (Rachana Banerjee) মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক নেই ঠিকই তবে তাদের বন্ধুত্বের সম্পর্কে অনুরাগ কিছু কম নেই। জুটি হিসেবে শেষ অভিনয়ের পর কেটে গিয়েছে আরও বেশ কয়েকটা বছর। এখনও অটুট তাদের বন্ধুত্ব।

প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার জুটির পর প্রসেনজিতের সঙ্গে রচনার জুটি বাংলাতে অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। উড়িয়া ইন্ডাস্ট্রি থেকে এসে প্রসেনজিতের বিপরীতে রচনাই তখন হয়ে উঠেছিলেন বাংলার সেরা নায়িকা। এখন অবশ্য বড় পর্দাতে অভিনয় করেন না তারা। সিনেমা ছেড়ে রচনা ছোট পর্দায় তার শোয়ের সঞ্চালনা নিয়ে ব্যস্ত। অন্যদিকে প্রসেনজিৎ অবশ্য এখনও চুটিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন টলিউডে।

সম্প্রতি একটি বাংলা সংবাদ মাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় রচনা-প্রসেনজিৎ জুটির রসায়ন আরও একবার ধরা পড়লো। কোনও রাখঢাক না করেই রচনা প্রসেনজিতের সামনেই বললেন, “বুম্বাদা একা থাকলে আমি বিয়ে করতে চাইতাম।” শুনেই লজ্জায় লাল হয়ে ওঠেন প্রসেনজিৎ। মুখে বললেন, “শুনেই ব্লাশ করছি!”

তবে এরপরেই প্রসেনজিৎ যা করলেন তাতে লজ্জায় লাল হয়ে উঠলেন রচনাও‌। রচনাকে জড়িয়ে ধরে প্রসেনজিৎ বলেন, “লোকের সামনেও ওকে আমি এইভাবে আদর করতে পারি।” এর থেকে স্পষ্ট হল বড় পর্দায় আর ধরা না দিলেও ভিতর ভিতর কিন্তু রচনা এবং বুম্বাদার মধ্যে কেমিস্ট্রিটা এখনও সেই আগের মতই আছে।

 

২ বার বিয়ে ভাঙার পর প্রসেনজিৎ অর্পিতা চ্যাটার্জীর সঙ্গে তার তৃতীয় বিয়েতে আপাতত সুখী। অন্যদিকে রচনারও বিয়ে ভেঙেছে ২ বার। একটি পুরনো সাক্ষাৎকারে রচনা আক্ষেপ করে বলেই ফেলেছিলেন তিনি প্রসেনজিতকে বলতে চান এতগুলো ছবিতে তো তারা অভিনয় করেছেন, রোমান্স করেছেন, বাস্তবে কেন রচনার সঙ্গে প্রেম করলেন না প্রসেনজিৎ? এতদিনে হয়ত তার আক্ষেপ মিটে গেল।

DIDI NUMBER ONE

উল্লেখ্য, এর আগে ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’ এর মঞ্চে যখন ‘আয় খুকু আয় ছবি’র প্রচারে এসেছিলেন প্রসেনজিৎ তখনও তাদের দুজনকে একসঙ্গে দেখে খুশিতে ভরে উঠেছিল ভক্তদের মন। মঞ্চে বাবার কথা মনে করে কান্নায় ভেঙে পড়েন রচনা। তখন প্রসেনজিৎ গিয়ে তাকে সামলে নেন। সেই দৃশ্য দেখে সোশ্যাল মিডিয়াতে এসে অনেকে কমেন্ট করেছিলেন, ‘‘তোমাদের কেমিস্ট্রি আজও সেরা!”