যে কোনও দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং অর্থনীতিই সেই রাষ্ট্রের প্রধান চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। উন্নয়নের এই তিন স্তম্ভের মধ্যে একটিও যদি কোনওভাবে বিপর্যস্ত হয় তাহলে রাষ্ট্রের উন্নয়ন অন্তত ১০০ বছর পিছিয়ে যেতে পারে। এ রকমই একটি কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন আজ ভারতবর্ষ। বাইরের কোনও শত্রু রাষ্ট্র নয়, ভারত এখন অতিক্ষুদ্র এক অদৃশ্য ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তেই রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে।
নতুন বছরের শুরুতেই করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন নিয়ে সারা ভারতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। চারিদিকে শুধুই অক্সিজেনের জন্য হাহাকার, স্বজন হারানোর যন্ত্রণা, মুমূর্ষু রোগীকে বাঁচানোর জন্য তার পরিবারবর্গের করুণ আকুতি শোনা যাচ্ছে। একদিকে যেমন প্রতিনিয়ত সংক্রমনের মাত্রা বাড়ছে, অপরদিকে তেমনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর হার।
এমতাবস্থায় রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় প্রশাসন সর্বতোভাবে সাধারণ মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করে চলেছে। আর এই কঠিন মুহূর্তে প্রশাসনের সঙ্গী হয়েছে বলিউড। বলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রী, গায়ক-গায়িকা এবং অন্যান্য কলাকুশলীরা যথাসাধ্য সাধারণের পাশে থাকার চেষ্টা করছেন। কেউ অক্সিজেন যোগান দেওয়ার দায়িত্ব নিচ্ছেন, তো কেউ আবার দেশের অসহায় মানুষের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন। বলিউডে এমন উদাহরণ রয়েছে ভুরি ভুরি।
এবার সেই লড়াইয়ে সামিল হলেন গায়িকা পলক মুচ্ছাল (Palak Muchhal)। সম্প্রতি একটি টুইট বার্তায় তিনি জানিয়েছেন তিনি নিজ খরচে এমন একটি হাসপাতাল বানানোর স্বপ্ন দেখছেন যেখানে দেশের অসহায় মানুষেরা সম্পূর্ণ বিনা খরচে চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। ইতিমধ্যেই পলক তার স্বপ্নের হাসপাতাল গড়ে তোলার কাজে হাত দিয়েছেন বলেই তিনি নিজের ইন্সট্রাগ্রাম প্রোফাইলে একটি পোস্ট করে জানিয়েছেন।
টুইটারে পলক জানান তাঁর হাসপাতাল তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তিনি লেখেন, “খুব ভাল লাগছে এটা জানাতে যে আমার হাসপাতাল তৈরির স্বপ্ন বাস্তব হতে চলেছে। সেখানে যাঁরা চিকিৎসার খরচ জোগাতে পারেন না তাঁদের বিনা খরচে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। বিল্ডিং তৈরির কাজ আরও একধাপ এগিয়ে গিয়েছে। আপনাদের সকলের আশীর্বাদ চাই।”
— Palak Muchhal (@palakmuchhal3) May 6, 2021
প্রসঙ্গত জনহিতকর কাজে ইতিপূর্বেও অর্থ সাহায্য করেছেন পলক। এর আগে একাধিক শিশুর চিকিৎসার জন্য টাকা দিয়েছিলেন তিনি। বিভিন্ন গানের অনুষ্ঠান থেকে তিনি যা পারিশ্রমিক পান তার একটি অংশ তিনি দেশ এবং দশের সেবার কাজে লাগিয়ে থাকেন। তবে তার বরাবরের স্বপ্ন ছিল দেশের দুস্থ মানুষদের জন্য বিনা খরচে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করা। করোনাকালেই সেই স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে চলেছেন গায়িকা। হাসপাতালের নির্মাণকার্য শুরু হয়ে গিয়েছে। পলকের স্বপ্নপূরণের জন্য এই অতিমারির সময়ের থেকে ভালো সময় আর কিছুই হতে পারত না।