অমিতাভ বচ্চনের সাফল্যের চাবিকাঠি, এই ছবির দাম দিয়ে কেনা যাবে ১০টি বাড়ি

বলিউডের (Bollywood) সেলিব্রিটি পরিবারের মধ্যে অন্যতম বচ্চন পরিবার (Bachchan Family)। এই পরিবারের প্রত্যেক সদস্যই নামী ব্যক্তিত্ব। অমিতাভ বচ্চন (Amitabh Bachchan), জয়া বচ্চন (Jaya Bachchan), অভিষেক বচ্চন (Abhishek Bachchan), ঐশ্বর্য রাই বচ্চন (Aishwarya Rai Bachchan), সকলেই বলিউডের নামিদামি সেলিব্রেটি। মুম্বাইয়ের সবথেকে দামি এলাকার প্রাসাদোপম ‘জলসা’তে বচ্চন পরিবারের সদস্যরা মিলে মিশে থাকেন।

তারকাদের রাজপ্রাসাদের অন্দরমহলটিও দারুণ সুন্দরভাবে সাজানো। নামিদামি চিত্রতারকাদের থেকে কিনে আনা দেওয়াল পেন্টিংয়ে সেজেছে জলসার দেওয়ালগুলি। ঘরের ভেতরে রয়েছে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ঘর সাজানোর জিনিস যার দাম কার্যত আকাশ ছোঁয়া! অমিতাভ বচ্চনের বসার ঘরের অন্দরমহলের দেওয়ালের ঝুলছে একটি বড় ছবি, যার মধ্যে একটি সাদা রঙের ষাঁড়ের ছবি আঁকা আছে। যেমন তেমন ষাঁড় নয়, একে অত্যন্ত শুভ প্রতীক বলেই মানেন বচ্চন পরিবারের সদস্যরা।

এই দীপাবলিতে বচ্চন পরিবারের সদস্যদের একত্রে একই ফ্রেমে দেখা গিয়েছে। সেখানে জলসার ড্রইংরুমে আঁকা বড় ষাঁড়ের ছবিটির থেকে চোখ ফেরাতে পারছেন না নেটিজেনরা। সিনিয়র বচ্চনের বাড়িতে এত বড় একটি ষাঁড়ের ছবি কেন? নেহাত ঘর সাজাতে নাকি এর পেছনে রয়েছে অন্য কোনও রহস্য? প্রশ্ন দানা বাঁধছে নেটিজেনদের মনে।

অবশ্য নেটিজেনদের মনে এমন প্রশ্ন দানা বাঁধাটাই স্বাভাবিক। কারণ ছবিটি কিন্তু যে সে ছবি নয়। ছবিটি যিনি এঁকেছেন তিনি ভারতের অন্যতম সেরা আধুনিক চিত্র শিল্পী মনজিৎ বাওয়া (Manjeet Bawa)। যিনি লন্ডন স্কুল অফ প্রিন্টিং, এসেক্সে সেরিগ্রাফি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন এবং ১৯৬৭ সাল থেকে শুরু করে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত লন্ডনে প্রিন্ট মেকার হিসেবে কাজ করেছেন।

তার একেকটি শিল্পকর্মের দাম কিন্তু আকাশছোঁয়া। সাধারণ মানুষ সেগুলি কিনতে পারেন না। আসলে তার ছবি আঁকার মধ্যে রয়েছে ইউনিক স্টাইল। তিনি তার কাজের জন্য অনুপ্রেরণা পান ভারতীয় পুরাণ এবং সুফি দর্শন থেকে। তার আঁকার বিষয়বস্তুতে বরাবর জাগতিক থেকে পুরাতাত্ত্বিক বিষয়বস্তু প্রাধান্য পেয়েছে। কখনও ভগবান শিব, কখনোও বা দেবী কালী, কখনও বা প্রকৃতির ছবি ফুটে উঠেছে তার ক্যানভাসে।

সেরকমই একটি ছবি অমিতাভ বচ্চন কিনেছিলেন মনজিৎ বাওয়ার থেকে। এই ছবিটিকে শুভ প্রতীক হিসেবে মনে করা হয়। ষাঁড়ের এই ছবিটির দাম প্রায় ৪ কোটি টাকার আশেপাশে! অমিতাভ বচ্চন ছবিটিকে তার বসার ঘরের দেওয়ালে টাঙিয়ে রেখেছেন। ছবিটি তার ড্রয়িং রুমের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার পাশাপাশি তার সংসারে শুভ প্রভাবও দিচ্ছে।